ট্রাকে পাথর বোঝাই করছেন শ্রমিকরা

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনায় সারাদেশের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জেও কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। তবে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ীই এখানকার সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চলছে।

বিধিনিষেধের প্রথম দিন বুধবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বন্দরে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়।

সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্বাভাবিকভাবেই চলছে স্থলবন্দরের সব কাজ। শনিবার (১৭ এপ্রিল) ভারত থেকে ৩৬৭টি ট্রাক পণ্য নিয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার ২৫৭ ট্রাক পণ্য এসেছিল। এসব ট্রাকে ভারত থেকে ভুট্টা, চাল, পাথর ও পেঁয়াজ আসছে। 

তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের চাকা স্প্রে করা হচ্ছে। শ্রমিকদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। মূল ফটকে জীবাণুনাশক স্প্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশে এসব কার্যক্রম আরও কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে। এমনকি পানামা পোর্ট এলাকায় পণ্য ওঠানামা কার্যক্রমে জড়িত শ্রমিকদের সংখ্যা অর্ধেক করা হয়েছে এবং তারাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছেন।

আমদানি-রফতানিকারকদের সংগঠন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কঠোর বিধিনিষেধে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে কোনো রকম প্রভাব পড়ছে না। আগের মতোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দরের কার্যক্রম চলছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০-২১ অর্থবছরে সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে ৪৮১ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দৈনিক প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন স্থলবন্দরে। এদের মধ্যে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংকের ভেতরে নিবন্ধিত শ্রমিকের সংখ্যা ১ হাজার ২৬৬ জন। বাকি সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক ভারতীয় ও দেশীয় ট্রাকে বিভিন্ন পণ্য ওঠানামার কাজ করেন।

জাহাঙ্গীর আলম/এসপি/জেএস