ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মহিলা আনসার সদস্যসহ ৮ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর আধা ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

রোববার (৭ জানুয়ারি) শৈলকুপা উপজেলার ২ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের ২৮ নম্বর মথুরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা উপজেলা) আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬ হাজার ৩৩৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটর ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭৭ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৯ জন। এই আসনে নতুন ভোটার ২৯ হাজার ৯৯৮ জন।

আরও জানা গেছে, এবারের ভোটকে অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ১৯ ইষ্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নের ১৫ প্লাটুন, বিজিবি ৯ প্লাটুন, আনসার ব্যাটালিয়ন ৭ হাজার ২০ জন, পুলিশ ১ হাজার ৬ শ’৪ জন মোতায়েন করাসহ ও র‌্যাবের ৮টি ভ্রাম্যামাণ টিম দায়িত্বে রয়েছে। এছাড়া ২৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ভ্রাম্যমাণ স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছেন।

মহিলা আনসার সদস্য সেফালি খাতুন ঢাকা পোস্টকে জানান, তারা নিয়ম মেনেই ভোটের ডিউটি করছিলেন। এমন সময় স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীক ও নৌকা প্রতীকের পোলিং এজেন্টদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা বেঁধে যায়। তখন তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে একে অপরকে মারতে শুরু করেন। এ সময় তার হাত থেকে লাঠি নিতে গেলে বাধা দেন, তারপরও তার কাছ থেকে লাঠি ছিনিয়ে নিয়ে তাকেসহ অন্য মহিলা আনসার সদস্যদের মারধর করেন। পরে পুলিশ ও বিজিবি এলে ট্রাকের সমর্থকেরা পালিয়ে যায়।

মথুরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার অসিম কুমার পদ্দার ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিয়ম মেনেই ভোটগ্রহণ চলছিল। হঠাৎ করেই অপ্রত্যাশিতভাবে এমন ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আমাদের মহিলা আনসার সদস্যরা আহত হয়েছেন। আধা ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকার পর এখন সব স্বাভাবিক।

উল্লেখ্য, বিজিবির স্ট্রাইকিং কোর্স কেন্দ্রে অবস্থান করছে। কেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন/এনটি