‘আমি তো আসলে এখন টেনশনের ভেতরে আছি। যেমন- একটা পরীক্ষার রেজাল্ট কিছুক্ষণ পরে দেওয়া হবে। এরকম একটা অবস্থার মধ্য দিয়ে আমার যাচ্ছে।’

সোমবার (৭ জানুয়ারি) বিকেল চারটায় গোদাগাড়ী উপজেলার পিরিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মাহিয়া মাহি এসব কথা বলেন। মাহি রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) থেকে নির্বাচনে অংশ নেন। 

মাহিয়া মাহি বলেন, ‘নির্বাচন একটা বড় লেসন লাইফের। কী করতে হবে, কীভাবে জনগণের কাছাকাছি যেতে হবে। শেখা উচিত আমার নির্বাচনী প্রচারণা থেকে। আমি তো ওরকম পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ না। সেইটা থেকেও আমি একদম সাধারণ জনগণের মাঝে মিশে গেছি, মানুষেরা আমাকে আপন করে নিয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘একটা এমপি যখন পাঁচ বছরের সময় পায়, অনেক বিশাল একটা সময়। সে সময়টাতে কিন্তু তার প্রত্যেকটা ভোটারের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক হয়ে যাওয়া উচিত। এট আসলে অনেকেই করে না। তারা আসলে মনে করে যে, ভোটের আগে ভোট চাইবো। আমি যখন ভোটারের কাছে আসছি, তারা আমাকে খুঁটি হিসেবে মনে করেছে। মানে খড়কুটো আঁকড়ে ধরে একটা বাঁচার আশা। আমি তাদের চোখেমুখে এই আশা দেখেছি।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ‘দুই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা আছে, তার মধ্যে কত ভোটারের উপস্থিতি হয়েছে সেটি এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে সবাই অনেক চালাক। অনেক মা-বোনেরা আসলে সকালে ভোট দিয়ে চলে গেছেন। সারাদিন কী হয়, কী না হয়— এ ভেবে তারা সকাল সকাল ভোট দিয়ে চলে যায়।’ 

শেষ বিকেলের চিত্র দেখে আপনি হতাশ কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে মাহি বলেন, ‘আমি কেন্দ্রগুলোতে খোঁজ নিয়েছি। জানতে পেরেছি— সবাই সকালে ভোট দিয়ে চলে গেছে। বিকেল বেলার আসার কেউ নাই। যদি আমি দেখতাম সব ভরা (ভোটাররা) আছে, তাহলে মনটা একটু ভালো হতো।’

শাহিনুল আশিক/এমজে