মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ও দুইবারের সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে ছয় হাজার ১৭১ ভোটে পরাজিত করে ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু।

রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে বেসরকারিভাবে মানিকগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুকে বিজয়ী ঘোষণা করেন জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা রেহেনা আকতার। 

এই আসনে মোটের মধ্যে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৪৪ ভোট কাস্টিং হয়েছে। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা এক লাখ ১৩ হাজার ৯৯০টি এবং বাতিল হয়েছে এক হাজার ৪৫৪টি ভোট। এই আসনে শতকরা ৪৪.৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে।

এই আসনে মোট ১৯৩টি ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু ট্রাক প্রতীকে নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩০৯টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৮২ হাজার ১৩৮টি ভোট।

জেলা রিটার্নিং কর্মকতার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিংগাইর-হরিরামপুর উপজেলা ও সদরের তিনটি ইউপি নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-২ সংসদীয় আসন। আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৬৬ হাজার ৯৮৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৩ জন এবং নারী ভোটার দুই লাখ ৩২ হাজার ১১৩ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন তিনজন। এই আসনে মোটে কেন্দ্র সংখ্যা ১৯৩টি।

এই আসনে মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের (নৌকা) মমতাজ বেগম, স্বতন্ত্র প্রার্থী (মোড়া) দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল, স্বতন্ত্র প্রার্থী (কেটলি) মুশফিকুর রহমান হান্নান, স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ চঞ্চল, স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) দেওয়ান জাহিদ আহম্মেদ টুলু, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (নঙ্গর) একেএম ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (একতারা) এমএ নাহিদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের (গামছা) তানভীর হাসান, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের (ফুলের মালা) ফেরদৌস আহম্মেদ আসিফ ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের (ডাব) মো. জাকির হোসেন।

জেলার নির্বাচনকেন্দ্রিক আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল মানিকগঞ্জ-২ আসনে। এই আসনে মোট দশ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ভোটের মাঠে মূল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে দু’বারের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মমতাজ বেগম সঙ্গে দলের স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহম্মেদ টুলুর। 

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন পর্যন্ত একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের কোনো কমতি ছিল না, করেছেন পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনও। এছাড়া, এই দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের নির্বাচনকেন্দ্রিক একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে।

সোহেল হোসেন/কেএ