দিনাজপুরসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে রাভভর বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। দিনব্যাপী কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে সড়ক ও মাঠঘাট। সেই সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। এক সপ্তাহ ধরে উত্তর জনপদের জেলাগুলোতে এমন অবস্থা। চলমান শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে আজও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে।

দিনাজপুর আবহওয়া অফিসের তথ্যমতে রোববার (১৪ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯০ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা আছে।

এদিকে প্রচণ্ড শীতে কাবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। কুয়াশার কারণে অনেক বেলা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে দূরপাল্লার যানবাহন। সন্ধ্যার পরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।শীতের সকালে ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।

রাজমিস্ত্রী মনজের সরকার বলেন, প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে শীতের প্রকোপটা বেশি সঙ্গে শীতল বাতাসের কারণে সাইটে কাজ করতে খুব সমস্য হচ্ছে। সূর্য দেখা যাচ্ছে না লেবাররা কাজে আসছে না এ ঠান্ডায়।

ভ্যানচালক আবু তালেব বলেন, রোদ উঠে না গত কয়েকদিন ধরে খুব ঠান্ডা। রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেছে। বাড়িতে বসে থাকলে পেটে খাবার যাবে না। ঠন্ডা হলেও ভ্যান নিয়ে বেড়িয়েছে রাস্তায় কিন্তু সকাল থেকে ভাড়া নেই।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, জেলায় বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। শনিবার ও রোববার টানা দুই দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্র দিনাজপুরে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯০ ভাগ। আকাশের উপরিভাগে ঘন কুয়াশা থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এজন্য বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের শেষে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমে যেতে পারে।

ইমরান আলী/আরকে