ঠাকুরগাঁওয়ে এবার আলুর ভালো আবাদ হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক শৈত্যপ্রবাহ এ অঞ্চলের কৃষকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকরা আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া অনুকূলে না এলে পণ্যটির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিসহ ক্ষেতে মড়ক লাগতে পারে। এতে ঠাকুরগাঁওয়ে এ মৌসুমে আলুর ফলন কমে যেতে পারে। ক্ষতি এড়াতে নিয়মিত পরিচর্যাসহ কীটনাশক ও হিমের ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে আলু ক্ষেত ভালো রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা।

শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব বেশি পড়েছে আগাম আলু রোপণকারীদের ওপর। ক্ষতি ঠেকাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা। আগাম আলুচাষীরা সেচসহ লেটব্রাইট রোগ থেকে ক্ষেত রক্ষায় নিয়মিত কীটনাশক ও হিমের ওষুধ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছেন।

চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁও জেলায় ২৬ হাজার ১৬৮ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত চাষ হয়েছে ২৭ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালান্দর ইউনিয়নের আলুচাষী রকিবুল ইসলাম জানান, তিনি দুই একর জমিতে আলু আবাদ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে নিয়মিত হিমের ওষুধসহ অন্যান্য ওষুধ স্প্রে করছেন। ফলে পণ্যটি আবাদে ব্যয় বাড়ছে।

একই এলাকার আরেক আলুচাষী মালেক জানান, আলুর আবাদ এ বছর মোটামুটি ভালো। ক্ষেত রক্ষার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কোনো রোগব্যাধির আক্রমণ না হলে ফলন ভালো হওয়ার প্রত্যাশা করছেন তিনি।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, শীত ও কুয়াশায় যাতে আলু ক্ষেতে মড়ক না ধরে, সেজন্য কীটনাশক প্রয়োগের পাশাপাশি পরিচর্যা করার জন্য কৃষি বিভাগ থেকে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আলু উৎপাদনের আগ পর্যন্ত বড় ধরনের দুর্যোগ না ঘটলে এ মৌসুমে বাম্পার ফলনের আশা করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের চাষীরা।

আরিফ হাসান/এমএসএ