একটি কম্বল না থাকার কারণে শীতে রাতে ঘুমাতে পারতাম না। অনেক কষ্টে রাত কাটাতে হতো, সকাল হলে খড় জ্বালিয়ে আগুনে শীরর গরম করতাম। এখন কম্বল গায়ে দিয়ে আরামে ঘুমাতে পারব। 

গতকাল শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন। সেই কম্বল পেয়ে কথাগুলো বলছিলেন ৭৫ বছরের বৃদ্ধা হোসনে আরা।

জাজিরার পূর্ব নাওডোবার চরাঞ্চলসহ অসহায় শীতার্তদের ১০০ জন অসহায়ের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের কম্বল বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কম্বল পেয়ে চরাঞ্চলের অসহায় গরীব মানুষ আনন্দের হাসি হেসে প্রধানমন্ত্রীসহ ইউএনওকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

কম্বল পেয়ে কলম আলী (৬৫) নামে এক ব্যক্তি বলেন, চরের মধ্যে ঠান্ডা বেশি। শীতের সময় আমাদের অনেক কষ্ট হয়। চরের বাসিন্দা বলে আমাদের এখানে কেউ শীতের সাহায্য নিয়ে আসে না। আজ হঠাৎ করেই ইউএনও স্যার এসে আমাদের কম্বল দিয়েছেন। রাতে কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমা্লে সকালে উঠে কাজ করতে পারব। কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমানোর কারণে অসুস্থ হবো না। ঠিকঠাক কাজ করে ছেলে-ছেলে মেয়ে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারব।

হোসনে আরা বেগম নামে এক নারী বলেন, আগুন জ্বালিয়ে রেখে ঘুমোতে হতো। আগুন জ্বালানোর কারণে ভয়ে থাকতাম, কখন কী বিপদ হয়। এখন কম্বল গায়ে দিয়ে আরামে ঘুমোতে পারব। আল্লাহর কাছে প্রধানমন্ত্রী ও ইউএনও স্যারের জন্য দোয়া করি, তারা যেন অনেকদিন বেঁচে থাকেন।

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শীতের উপহার চরাঞ্চলের অসহায় গরীব মানুষের মধ্যে বিতরণ করেছি। শীতে চরের মানুষের কষ্টের কথা ভেবেই কম্বল নিয়ে এখানে এসেছি। শীতার্তদের পাশে উপজেলা প্রশাসন সব সময় আছে ও থাকবে। 

কম্বল বিতরণের সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নজরুল ইসলাম, পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন খান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সোহাগসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সাইফ রুদাদ/এনএফ