মাস্ক ব্যবহারে শতভাগ অভ্যস্ত করা যাচ্ছে না তাদের

সারাদেশে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। মাদারীপুরের প্রায় প্রতিটি এলাকার মানুষের মাঝে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা দেখা গেছে। কোনোভাবেই মাস্ক ব্যবহারে শতভাগ অভ্যস্ত করা যাচ্ছে না তাদের।

বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ, উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি, জরিমানা করেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ফলাফল। এদিকে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলছে।

সরকারি বিধিনিষেধ অনুযায়ী কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার জন্য সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মানুষ বের হতে পারবেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হতে পারবেন না।

বাকি সময় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক ব্যাবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার নির্দেশ রয়েছে। এছাড়াও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে গণপরিবহন চলাচলের ব্যাপারে।

মানুষের মাঝে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা 

রোববার (১৮ এপ্রিল) মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অন্য দিনের থেকে মানুষের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেলেও অনেকেই ব্যবহার করছেন না মাস্ক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত মাইকিং করে মাস্ক ব্যবহারে কথা বলা হচ্ছে। মাস্ক না পরার কারণে জরিমানা করা হচ্ছে।

তাতেও আশানুরূপ ফল হচ্ছে না। এমনকি মাস্ক না পরে তারা দিচ্ছেন বিভিন্ন যুক্তি, অজুহাত আবার অনেকে রসিকতাও করছেন। অনেকে আবার শুধু লোক দেখানোর জন্য মাস্ক মুখের নিচে ঝুলিয়ে রাখছেন।

সচেতন মহল মনে করছে, সরকার আরও কঠোর অবস্থানে না গেলে মাস্ক ব্যবহারে মানুষকে শতভাগ নিশ্চিত করানো যাবে না। করোনার সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলছে। সর্বশেষ মাদারীপুর জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩১ জন।

রিকশাচালক করিম তালুকদারকে মাস্ক না পরার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন, ‘গরমের ঠ্যালায় মাস্ক পরতে মন চায় না। মাস্ক পরতে পরতে কান ব্যথা হইয়া যায়। দুই দিন পর পরই মাস্ক ছিঁড়ে যায়। এত মাস্ক কিনতে টাকা পামু কই?’

চায়ের দোকানদার বলেন, ‘আমি পান খাই। মাস্ক পরলে পানের পিকে লাল হয়ে যায়। মাস্ক সঙ্গেই আছে। পানটা খেয়ে তারপর মাস্ক পরমু।’

গৃহবধূ রহিমন বলেন, ‘আমরা সরাদিন কাজ করি করোনাভাইরাসে আমাদের কিছু হইবো না। মরলে মরলাম, তারপরও মাস্ক পরুম না।’

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, সবাইকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যারা মাস্ক ব্যবহার করছেন না তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করছি। করোনা সংক্রমণ কমিয়ে আনতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। 

নাজমুল মোড়ল/এমএসআর