রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বন্ধ করার জন্য যারা সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, ট্রেনের মতো রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে, তারা এই দেশের ভালো চায় না। তারা এই দেশের সন্তান না। মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি যারা চর্চা করে তাদেরকে জনগণ বেছে নেবে না। এই নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ শিক্ষার্থী আবু তালহার (২৮) পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, মানুষের মৃত্যুর চেয়ে খারাপ কিছু হতে পারে না। তারপর তারা আগুনে পুড়িয়ে যেভাবে মানুষ হত্যা করেছে এটা সম্পূর্ণ মানবতাবিরোধী। যারা আগুন দিয়ে মানুষ মেরে ক্ষমতায় যেতে চায় আল্লাহ তাদের যেন বিচার করে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুল হাকিম বলেন, যারা ট্রেনে আগুন দিয়েছে তারা ধরা পড়েছে। জানা গেছে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে দিয়ে ট্রেনে আগুন দেওয়ানো হয়েছিল। ট্রেনে নাশকতা মোকাবিলায় আমরা কঠোর হচ্ছি। এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে আমরা কাজ করছি। সকল স্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি স্টেশনে রেলওয়ের নিরাপত্তা কর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি আনসার বাহিনী কাজ করছে। সর্বোপরি আমাদের জনগণকে সচেতন হতে হবে।

তিনি বলেন, তালহার পরিবারকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। রেলপথ মন্ত্রণালয় তালহার পরিবারের পাশে থাকবে। তালহার বাড়ির এলাকার কালুখালীর শিকজান বাজার থেকে  শায়েস্তাপুরের সাড়ে ৩ কিলোমিটার সড়কটি তালহার নামে করার ঘোষণা দেন মন্ত্রী।

এ সময় তার সঙ্গে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সোহাগ হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুল মোরশেদ আরুজ, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী উজ্জামান চৌধুরী টিটু, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য গোবিন্দ কুন্ডু, মৃগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, বালিয়াকান্দির জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আবু তালহা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের গাং বথুনন্দিয়া বড়ইচারা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ৫ জানুয়ারি রাজধানীর গোপীবাগে ট্রেনের অগ্নিকাণণ্ডের ঘটনায় তিনি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/আরএআর