নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় বড়-পিংগুইন গ্রাম থেকে এক রাতে নয়টি সেচযন্ত্র (শ্যালো মেশিন) চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বোরো চাষিসহ শতাধিক কৃষকরা। এর ফলে প্রায় ২৫০ বিঘা জমির ফসল চাষ ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে জানান ভুক্তভোগী কৃষকেরা।

এ ঘটনায় শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে শাহিন সরদার নামে এক কৃষক ভুক্তভোগী সকল কৃষকের পক্ষে বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার নগর ইউনিয়নের বড়-পিংগুইন এই চুরির ঘটনা ঘটে। 

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হলেন বড়-পিংগুইন গ্রামের শাহিন সরদার, বাবুল হোসেন, আলমগীর হোসেন, আমিনুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, খাদেমুল ইসলাম, আফসার আলী ও আব্দুল লফিত।

কৃষক শাহীন আলম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতেও আমি শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিয়েছি। সকালে জমিতে গিয়ে দেখি শ্যালোমেশিন নাই। পরে শুনি ওই রাতে-ই গ্রামের ৯টি মেশিন চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। এ ঘটনায় শুক্রবার আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’

কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, চুরি হওয়া ওইসব শ্যালোমেশিনের আওতার জমি গুলোতে রসুন, গম, ভুট্টাসহ চৈতালি ফসল রয়েছে। এগুলোতে নিয়ম করে সেচ দিতে হয়। সঠিক সময়ে সেচ দিতে না পারছ প্রায় ২৫০ বিঘা জমির ফসল চাষে ক্ষতি হতে পারে।

নগর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা শামসুজ্জোহা বলেন, এই এলাকার কৃষকরা যুগ যুগ ধরে ফসল আবাদ করে আসছেন। প্রতিদিন বাড়ি থেকে আনা-নেওয়ার সমস্যার কারণে তারা মেশিনগুলো বস্তা দিয়ে ঢেকে ক্ষেতেই রেখে আসতেন। এর আগে কখনো এমন চুরি হয়নি। মেশিনগুলোর একেকটির দাম ১৫-২০ হাজার টাকা। চাষাবাদের ভরা মৌসুমে এখন , ঠিক এই সময় এমন চুরির ঘটনায় দরিদ্র কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আযম বলেন, এক রাতেই ৯টি সেচযন্ত্র চুরির বিষয়ে কৃষকরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ ওই এলাকা পরিদর্শন করেছে। পুলিশ চোর চক্রকে ধরতে অভিযান শুরু করেছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা।#

গোলাম রাব্বানী/এমএসএ