ঝালকাঠিতে চলতি বছরের বিভিন্ন সময় হারিয়ে যাওয়া এবং চুরি হওয়া ১১টি স্মার্টফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে ঝালকাঠি জেলা পুলিশ। শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

সেখানে ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল মোবাইল ফোনের মালিকদের হাতে ফোন তুলে দেন। ফোন উদ্ধার ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বিষয় নিয়ে কথা বলেন পুলিশ সুপার।

চলতি জানুয়ারি মাসে ঝালকাঠিতে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি ঝালকাঠি শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি রিপন মল্লিককে হত্যার সঙ্গে জড়িত নারী শিরিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।

এদিকে গত ৭ জানুয়ারি নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফুয়াদ কাজীকে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কাজী শাহ নেওয়াজ জনি নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহ নেওয়াজ পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।

এছাড়াও এ দুটি হত্যাকাণ্ডে আরও যারা জড়িত আছে, তাদেরকেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, ঝালকাঠি জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে।

মোবাইল ফোন ফেরত পেয়ে শাহজাদি শারমিন নামের এক নারী বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আমার মোবাইল ফোনটি হারিয়ে যায়। এরপর আমি থানায় জিডি করি। জেলা পুলিশ সুপার আমার ফোনটি উদ্ধার করে দিয়েছেন। খুব দ্রুত সময়ে হারানো মোবাইলটি ফিরে পেয়ে আমি অনেক খুশি।

এছাড়া হারিয়ে যাওয়া ও চুরি হওয়া মোবাইল ফোন হাতে পেয়ে জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মোবাইল ফোনের মালিকরা।

প্রেস ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন আনোয়ার সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শেখ ইমরান, অফিসার ইনচার্জ (ডিবি) ও বিভিন্ন প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

টিএম