তীব্র শীতে নওগাঁয় স্থানীয়দের জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে ১০ ডিগ্রির নিচে। চলমান মৃদু শৈত্য প্রবাহে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডার পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী সোমবার (২২ জানুয়ারি) জেলার প্রাথমিক পর্যায়ের ১ হাজার ৩৭৪টি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান।

নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, চলমান শৈত্য প্রবাহের আবহাওয়া পূর্বাভাসের ফলাফল দেরিতে আসায় আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে বেশি সময় লাগছে। রোববার (২১ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। তবে দেরিতে আবহাওয়া পূর্বাভাস পাওয়ায় স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। 

যেহেতু শীতের তীব্রতা বাড়ছে তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামীকাল সোমবার (২২ জানুয়ারি) জেলার সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৪টি স্কুলের প্রত্যেকটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি না পেলে ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে পরবর্তীতে আবারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নওগাঁ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, চলমান শৈত্য প্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে আগামীকাল সোমবার (২২ জানুয়ারি) তাপমাত্রা আবারও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকবে। তাই জেলার সকল সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাপমাত্রা অব্যাহতভাবে ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হবে।

নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাহবুব আলম ঢাকা পোস্টকে জানান, জেলায় এক সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। 

গতকাল শনিবার (২০ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটা কমে গিয়ে আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৬টা ও ৯টায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। এটাকে মৃদ্যু শৈত্য প্রবাহ বলা হয়। এ রকম তাপমাত্রা আরও দু-এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

আরমান হোসেন রুমন/এমএএস