নীলফামারীর তাপমাত্রা নামল ৮ ডিগ্রিতে, বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
নীলফামারীতে রাতভর টিপ টিপ বৃষ্টির মতো কুয়াশায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুই সপ্তাহ ধরে জেলার তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
এ কারণে জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুইদিন পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসায় সোমবার বিদ্যালয় ছুটির এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ এম শাহজাহান সিদ্দিক।
বিজ্ঞাপন
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের না হওয়ায় রাস্তাঘাট, হাটবাজার, রেলস্টেশন বাস টার্মিনালসহ লোকালয়ে মানুষজনের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। সরকারি-বেসরকারি অফিসে চাকরিজীবীরা আসলেও কাজকর্মে চলছে স্থবিরতা। জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষরা বের হলেও কাজ না পেয়ে পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। রিকশা-ভ্যানচালক, দিনমজুর, কৃষি শ্রমিকরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের টেপা রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, খুব ঠান্ডা পইড়ছে বাও। আগুনের গোড়ত বইসলে উঠির মনায় না। কাম না কইরলে খামো কি? এই জন্য এই ঠান্ডাত কাম করির নাগেছে।
বিজ্ঞাপন
জেলা সদরের ট্রাফিক মোড় এলাকার রিকশাচালক আহসান হাবীব ঢাকা পোস্টকে বলেন, যে ঠান্ডা, মানুষ বাইরে বের হবে কিভাবে। সবাই ঠান্ডায় ঘরে থাকলেও আমরা ঘরে থাকতে পারিনা। আমাদের তো বাড়িতে বসে থাকলে পেটে খাবার জুটবে না। বাধ্য হয়ে প্রচন্ড শীতের মধ্যেও রাস্তায় বেরিয়েছি।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে নীলফামারীর তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। এ রকম তাপমাত্রা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা কম।
নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ সময় চলাফেরায় সবাইকে সাবধান হতে হবে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা লাগানো একেবারেই যাবে না।
শরিফুল ইসলাম/আরকে