বরগুনা জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলার ঘটনার দ্বিতীয় দিনেও চলছে বাস ধর্মঘট। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে বরগুনা কেন্দ্রীয় পৌরসভার বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, বাস চলাচল বন্ধ থাকায় শীতের ঠাণ্ডায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বরগুনা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের সাধারণ যাত্রীরা।

এর আগে গত রোববার (২১ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে বরগুনার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় একটি ফেস্টুন  টানানোকে কেন্দ্র করে জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ছগীরের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়া ওই সংগঠনটির অফিসে হামলা চালিয়ে অফিস ভাঙচুর করা হয়। 

পরে হামলার ওই ঘটনায় সোমবার ২২ জানুয়ারি সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ওইদিন দুপুরে হামলার শিকার ভুক্তভোগী ছগির হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে বরগুনা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ওইদিনই বিকেলে প্রশাসনের অনুরোধে যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বরিশালের উদ্দেশ্যে বরগুনা টার্মিনাল থেকে একটি বাস ছাড়লেও পরবর্তী সময়ে আর কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এতে টার্মিনালে আসা যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। অপরদিকে বাস মালিক ও শ্রমিকদের দাবি মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দারকে সংগঠনের পদ থেকে অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।

বরগুনা থেকে বরিশালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে টার্মিনালে আসা যাত্রী আবু বকর বলেন, আমার জরুরি প্রয়োজনে বরিশাল যেতে হবে। তবে বাস বন্ধ থাকায় এখন এ শীতের মধ্যে বিকল্প উপায়ে বরিশাল যেতে হবে। 

আরেকজন যাত্রী ইমরান হোসেন সকালে তার পরিবার নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাস টার্মিনালে এসে বলেন, শীতের মধ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে দেখি বাস বন্ধ। বরগুনা থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য সকালে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এখন কি করব বুঝতে পারছি না।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি গ্রুপের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কবির বলেন, আমাদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়েছে। এছাড়া সংগঠনের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে এতে বাস মালিক ও শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ফলে এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও ঘটনায় জড়িত জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দারকে সংগঠনের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পরই বাস মালিক ও শ্রমিকরা ধর্মঘট তুলে নেবেন। 

আরকে