পিরোজপুরের নেছারাবাদে অবৈধপথে ভারতে দেড় কোটি টাকার সুপারি পাচারকালে দুটি ট্রলারসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার সন্ধ্যা নদীর বিনয়েকপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালি গ্রামের সেকেন্দার হাওলাদারের ছেলে হারুন হাওলাদার (৬১), একই গ্রামের আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে অলি হাওলাদার (২৭) ও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগাতী উপজেলার ফয়জুল হকের ছেলে নূর নবী মাঝি (৩৫)। এসময় ট্রলারে থাকা শাহজাহান হাওলাদার (৬০) নামে একজন পালিয়ে গেছে। 

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে নেছারাবাদ থানা পুুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান পঞ্চায়েত বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে আসামি করে নেছারাবাদ থানায় একটি মামলা করেন।

এছাড়া পলাতক মো. শাহজাহান হাওলাদার মঠবাড়ীয়া উপজেলার তুষখালি গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের মো. হোসেন আলী হাওলাদারের ছেলে। শাহজাহান হাওলাদার ওই উপজেলার তুষখালি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুপারিগুলো দুটি মাছ ধরার ট্রলারে করে ভারতে পাচার হওয়ার কথা ছিল। রাতে সন্ধ্যা নদীর বিনয়েকপুর এলাকা থেকে ট্রলারসহ ওই তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ট্রলারে আনুমানিক দেড় কোটি টাকার সুপারি ছিল। এসময় তিনজনকে আটক করা গেলেও ট্রলারের মালিক মঠবাড়ীয়া উপজেলার তুষখালি ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হওলাদারসহ ১০/১২ জন পালিয়ে যায়। আটক ট্রলারসহ সুপারিগুলো মঠবাড়ীয়া উপজেলার তুষখালি ইউপি চেয়ারম্যানের শাহজাহান হওলাদারের।

এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম সরোয়ার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে সন্ধ্যা নদীর বিনয়েকপুর এলাকার নদীতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রায় দেড় কোটি টাকার সুপারিসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দুপুরে উপজেলার তুষখালি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারসহ চারজনকে ও অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।

এমএএস