কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে পাহাড়ের গহীন অরণ্যে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রসহ মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) তিন সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাব। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাতভর অভিযান চালিয়ে র‍্যাব-১৫ এর সদস্যরা তাদের আটক করেন। এ সময় তাদের  কাছ থেকে ২২টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১০০ রাউন্ড গুলি ও চারটি মাইন উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- আরসার একটি গ্রুপের কমান্ডার ওসমান ওরফে মগবাগি ওসমান, সদস্য নেছার ও ইমাম হোসেন।

র‍্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন জানান, আরসা শুধু ক্যাম্পে দখলদারিত্ব ও ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য অপরাধ করছে না, প্রয়োজনে এপিবিএন, পুলিশ ও র‍্যাবকেও হামলার টার্গেট করছে। আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনি ও মাস্টার খালেদের নির্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লাল পাহাড়ে আস্তানা গেঁড়ে সেখানে অস্ত্র মজুত করে তাদের একটি গ্রুপ। আতাউল্লাহ ও খালেদের নির্দেশে সেই সব অস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেন তারা। এই আস্তানায় ৬-৭ জনের একটি গ্রুপ অবস্থান করার খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। বাকিরা অভিযান টের পেয়ে পলিয়ে যান। আরসার তিন সন্ত্রাসীকে ধরার পর মজুত অস্ত্রের খোঁজে পাহাড় থেকে পাহাড়ে তল্লাশি শুরু করে র‍্যাব। তারপর ২২টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১০০ রাউন্ড তাজা গুলি ও চারটি স্থলমাইন উদ্ধার করে।

তিনি আরও জানান, উসমান নিজ হাতে দুইজনকে হত্যা করেছেন। তার মধ্যে একজন হলো ক্যাম্প-১৭ এর আব্দুল্লাহ। আরেকজনকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে জবাই করে হত্যা করেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন উসমান। আরসার মাইন গ্রুপের ১০ সদস্যের মধ্যে নেছার হলেন মাইন বিশেষজ্ঞ। যার হাত দিয়ে তৈরি হয়েছে ৫ শতাধিক মাইন। এসব মাইন তিনি গ্রুপের সদস্যদের মাধ্যমে আরসা সদস্যদের একজনকে দুই-তিনটি মাইন ডিস্ট্রিবিউট করে দিতেন নাশকতা করার জন্য। নেছারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নেছার নিজ হাতে ৫ শতাধিক মাইন তৈরি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এছাড়াও গ্রেপ্তার ইমাম হোসেন দক্ষ শুটার। তিনি উসমানের গান গ্রুপের একজন সক্রিয় সদস্য।

সাইদুল ফরহাদ/আরএআর