কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে আজও বয়ে যাচ্ছে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের শীতের সঙ্গে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে খুব একটা যাচ্ছেন না। সন্ধ্যার আগেই গ্রামীণ হাট বাজারগুলো লোক শূন্য হয়ে পড়ছে। এক সপ্তাহ ধরে এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। 

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। 

দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হচ্ছে। 

ঠান্ডার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপচরের মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের খান পাড়া এলাকার কৃষক তাজুল ইসলাম বলেন, বোরোধান রোপণ শুরু হয়েছে আমাদের এখানে। ঠান্ডার কারণে ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না। অনেকদিন থেকে খুব ঠান্ডা। এতো ঠান্ডায় আমরা খুব সমস্যাত পরছি।

একই ইউনিয়নের শ্রমিক আসাদুল ইসলাম বলেন, আমি শহরে রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। সকাল সকাল শহরে যেতে খুব কষ্ট ঠান্ডার কারণে। মানুষ যখন ঘুম থেকে ওঠে না, সেই সময় আমরা কাজে যাই, খুব কষ্ট হয়।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাসজুড়েই তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। 
তবে আগামী মাস থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

জুয়েল রানা/এসএম