নিহত নুরুল হুদা লিটন

দক্ষিণ আফ্রিকায় নুরুল হুদা লিটন নামে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তিনি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের লাল মোহাম্মদ বাড়ির এবাদুল হকের ছেলে।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে আফ্রিকার জোহানেসবার্গ হিলবো শহরে লিটনের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের চাচাতো ভাই মনির হোসেন সবুজ ঢাকা পোস্টকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে দোকান থেকে বাসায় ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে লিটন জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান। সেখানে জোহানেসবার্গের হিলবো শহরে তার ছোট ভাইসহ দীর্ঘদিন ধরে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলেন। সাত মাস আগে সর্বশেষ দেশে এসেছিলেন। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল লিটনের।

দাগনভূঞা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়ত উল্লাহ স্বপন ঢাকা পোস্টকে বলেন, লিটন সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা গেছেন বলে শুনেছি। তার স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিবেদিতা চাকমা বলেন, তার (লিটনের) মৃত্যুর বিষয়টি অবগত হয়ে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। মরদেহ দেশে আনার জন্য সহায়তা করা হবে। এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ তহবিল থেকে তার পরিবারের জন্য সরকার নির্ধারিত অনুদান যেন খুব দ্রুত পায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।

ফেনী পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের সাবেক গাড়ি চালক এবাদুল হকের তিন ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে লিটন ছিল সবার বড়। তার মেজো ভাই সৌদি আরবে এবং ছোট ভাই মিঠু দক্ষিণ আফ্রিকায় তার সাথে থাকতেন।

তারেক চৌধুরী/আরএআর