বরগুনার তালতলী উপজেলায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে লিপি আক্তার নামের এক প্রসূতি নারীর সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পিঠ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে অভিযোগের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে জানান শিশুটির বাবা সোহাগ। 

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে তালতলীর উপজেলার দোয়েল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই প্রসূতি নারীর সিজারিয়ান অপারেশন করেন ক্লিনিকের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রুনা রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শনিবার দুপুরের দিকে তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকার বাসিন্দা সোহাগের প্রসূতি স্ত্রী লিপি আক্তারকে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য তালতলীর দোয়েল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় লিপি আক্তারের সিজারিয়ান অপারেশন করেন ওই ক্লিনিকের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রুনা রহমান। অপারেশন শেষে এক পর্যায়ে নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনলেও অপারেশন থিয়েটার থেকে তাকে বের করা হচ্ছিল না। দীর্ঘ সময় পর নবজাতককে যখন স্বজনদের কাছে দেওয়া হয়, তখন তার পিঠে ক্ষত দেখতে পান। 

এ বিষয়ে ওই নবজাতকের বাবা সোহাগ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার স্ত্রীর সিজারিয়ান অপারেশন করতে ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। অপারেশন শেষে প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট পরে স্ত্রী ও বাচ্চাকে আমরা কাছে পাই। এসময় আমার স্ত্রী আমাকে বাচ্চার শরীর দেখতে বললে দেখি বাচ্চার পিঠ কাটা রয়েছে। পরে ডাক্তারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা বলেন সমস্যা নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে দিয়েছি।

নবজাতকের পিঠ কেটে যাওয়ায় পরবর্তী সময়ে তারা আইনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অন্য হাসপাতালে বাচ্চার পরীক্ষা করতে চাই। এছাড়া বাচ্চাকে সুস্থ করতে দোয়েল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা খরচসহ সব ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে তালতলীর দোয়েল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রুনা রহমানের বক্তব্য জানতে তাকে মোবাইলে কল করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কল কেটে দেন। 

আরকে