লালমনিরহাটে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলসি লিমিটেডের (নেসকো) পিচরেট মিটার রিডার ও বিল বিতরণকারীরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। এতে করে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বাড়িতে থাকা মিটার না দেখেই নিচ্ছেন ইউনিট রিডিং। 

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার নেসকো কার্যালয়ের সামনে ৫ উপজেলা থেকে আসা পিচরেট মিটার রিডার ও বিল বিতরণকারীরা এই কর্মবিরতিতে অংশ নেন। এতে চাকরি স্থায়ীকরণ না হলে আত্মহত্যার হুমকি দেন তারা। 

পিচরেট মিটার রিডার ও বিল বিতরণকারী ইউসুফ আলী (৭০) বলেন, প্রায় ২০ বছর থেকে আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিল বিতরণ করে আসছি। নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এর আগে চাকরি স্থায়ীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু বয়স শেষ হয়ে গেলেও চাকরি স্থায়ী করা হয়নি। চাকরি স্থায়ী করা না হলে আমি পরিবার নিয়ে কোথায় যাব। আমার আত্মহত্যা ছাড়া কোনো ‍উপায় থাকবে না।

কর্মবিরতি চলাকালে বক্তারা জানান, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে অস্থায়ী (পিচরেট) ভিত্তিতে মিটার পাঠক ও বিল বিতরণকারী হিসেবে তারা কর্মরত আছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ হয়নি। ফলে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ৬০০ জনের বেশি পিচরেট কর্মচারী তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম হতাশার মধ্যে জীবনযাপন করছেন। তাই অবিলম্বে তারা তাদের চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানান। না হলে আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।

জেলা নেসকোর পিচরেট ঐক্য পরিষদের সভাপতি কালী শঙ্কর রায় বলেন, প্রি-প্রেইড সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এই সিস্টেম পুরোপুরি চালু হলে আমরা চাকরিচ্যুত হব। তাই আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে। নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এর আগে চাকরি স্থায়ীকরণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু আজও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। 

এ সময় বক্তব্য দেন লালমনিরহাট জেলা নেসকোর পিচরেট ঐক্য পরিষদের সভাপতি কালী শঙ্কর রায়, নেসকো অফিসের সভাপতি বাবু জগন্নাথ রায়, পাটগ্রাম নেসকো অফিসের পিচরেট ঐক্য পরিষদের সভাপতি ইসমাইল হোসেন বাবু, কালীগঞ্জ নেসকো অফিসের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান ঢালীসহ ৫ উপজেলার পিচরেট মিটার রিডার ও বিল বিতরণকারীরা।

নিয়াজ আহমেদ সিপন/এএএ