দিনাজপুর পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (৩১ জানুয়ারি) খনির পাথর উত্তোলনকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি এ ঘোষণা দেয়।

ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে খনির পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে খনিতে কর্মরত প্রায় ৭ শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে।

মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু দাউদ মো. ফরিদুজ্জামান বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

খনি সূত্রে জানা যায়, প্রতিমাসে উৎপাদন বাড়লেও পাথর বিক্রিতে গতি নেই। প্রতি মাসে প্রায় দেড় লাখ টন পাথর উৎপাদনের বিপরীতে বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন পাথর। এতে করে খনির ৯ ইয়ার্ডে বিভিন্ন সাইজের প্রায় ১০ লাখ টন পাথরের বিশাল মজুদ রয়েছে। পাথর বিক্রি কম হওয়ায় পাথর উত্তোলন করে খনিতে রাখার জায়গা না থাকায় বিপাকে পড়েছে খনি কর্তৃপক্ষ।

এদিকে পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া খনি থেকে গত ডিসেম্বর মাসে রেকর্ড পরিমাণ ১ লাখ ৩৯ হাজার টন পাথর উৎপাদন করা হয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি দৈনিক পাথর উত্তোলনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৬ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন হয়। যা খনির ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি। খনিতে দৈনিক পাথর উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন। এর আগে কখনও একদিনে এতো বিপুল পরিমাণ পাথর উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। প্রতি মাসে উৎপাদন বাড়লেও পাথর বিক্রিতে গতি না থাকায় রেকর্ড পরিমাণ উত্তোলন করেও সময়মতো বিল পাচ্ছে না জিটিসি।

এ অবস্থায় অর্থ সংকটে পড়ে সময়মতো উৎপাদন বিল না পাওয়ায় ৭ শতাধিক দেশীয় শ্রমিক-কর্মচারী ও প্রায় ১০০ বিদেশি খনি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীর বেতন-ভাতা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে। এর মাঝেই অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য শ্রমিক-কর্মচারীদের ছুটি ও পাথার উত্তোলনে বন্ধ ঘোষণা করেছে খনি কর্তৃপক্ষ।

ইমরান আলী সোহাগ/আরকে