উন্নত জীবনের আশায় দুই বছর আগে পরিবার-পরিজন রেখে ইতালিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন আলমগীর হাওলাদার। কিন্তু প্রবাস জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই স্ট্রোক করে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। এমন খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েছে আলমগীরের স্বজনরা। নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টার দিকে আলমগীর ইতালির নেপোলি শহরে মৃত্যুবরণ করেন। সন্ধ্যায় তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পারে।

নিহত আলমগীর হাওলাদার (৪০) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বিঝারি ইউনিয়নের দিগম্বরপট্টি গ্রামের মৃত নুরু হাওলাদারের ছেলে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নড়িয়ার বেশিরভাগ বাড়িতেই দুই-একজন করে প্রবাসী রয়েছেন। উন্নত জীবনের আশায় আলমগীরও বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও তিন ছেলে-মেয়ে রেখে দুই বছর আগে লিবিয়া হয়ে ইতালি প্রবেশ করেছিলেন। ইতালির নেপোলি শহরে তিনি কাজ করতেন। শনিবার সন্ধ্যার দিকে তার পরিবারের লোকজন জানতে পারেন বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টার দিকে স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন আলমগীর। এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। স্বজনদের এখন একটাই দাবি, আলমগীরের মরদেহ যেন দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয়।

মনির হোসেন হাওলাদার নামে একজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আলমগীর সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই। ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। স্ত্রী সোনিয়া, ছেলে আব্দুল্লাহ, মেয়ে সুরভী ও মিমের উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে দুই বছর আগে লিবিয়া হয়ে ইতালি প্রবেশ করেছিল সে। ইতালিতে কিছুদিন আগে সে কাজ পেয়েছে। হঠাৎ স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। পরিবারের সুখের জন্য বিদেশ গিয়ে প্রাণ হারানোয় সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। আমাদের একটাই দাবি, তার মরদেহ যেন দ্রুত দেশে এনে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শংকর চন্দ্র বৈদ্য ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। নিহত আলমগীরের পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা মরদেহটি দেশে আনার ব্যবস্থা করব। তার পরিবারের পাশে থাকবে উপজেলা প্রশাসন।

সাইফ রুদাদ/এসএসএইচ