আখেরি মোনাজাতের অপেক্ষায় লাখো মুসল্লি
গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে আজ রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি)। মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি, কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন। আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় কয়েক লাখ মুসল্লি অপেক্ষায় রয়েছেন।
মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হেদায়েত, ঐক্য, শান্তি, সমৃদ্ধি, ইহকাল ও পরকালের নাজাত এবং দ্বীনের দাওয়াত সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য দোয়া করা হবে। এছাড়া সব ধরনের গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা হবে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস, চান্দনা চৌরাস্তা, বোর্ড বাজার, কলেজ গেট, বিমানবন্দর, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর, কামারপাড়া ও টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকা হয়ে ঢাকা ও গাজীপুরের আশপাশের জেলার মুসল্লিরা দলে দলে ইজতেমা ময়দান এলাকায় আসছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিদের স্রোত বাড়তে থাকে।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে গতকাল শনিবার ইজতেমা ময়দানে এসেছেন মনির হোসেন। তিনি বলেন, লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে আমি আল্লাহর দরবারে হাত তুলব।
বিজ্ঞাপন
রোববার ফজরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয় হেদায়েতি বয়ান। হেদায়েতি বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক সাহেব। এরপর কিছু সময়, নসিহতমূলক কথা বলেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা সাহেব।
আনুমানিক সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বলে আয়োজন কমিটির পক্ষ থেকে ইজতেমার মিডিয়া বিষয়ক সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানিয়েছিলেন।
এর আগে বিশ্ব ইজেতার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে দেশ বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি এসেছেন ইজতেমা ময়দানে।
এদিকে ইজতেমা ময়দানের মুসল্লিদের যাতায়াত সহজ করতে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা থেকে গাজীপুরের তিনটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশ। মোনাজাত শেষে আগামীকাল রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার পর সড়কগুলো আবার খুলে দেওয়া হবে।
সড়ক তিনটি হলো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আবদুল্লাহপুর থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস, টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের মিরের বাজার থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড পর্যন্ত এবং রাজধানী ঢাকার কামারপাড়া মোড় থেকে টঙ্গীর মন্নুগেট সড়ক। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসব সড়কে ইজতেমার মুসল্লি বহনকারী যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি চলতে পারবে না। তবে জরুরি প্রয়োজনের গাড়ি যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, গণমাধ্যমকর্মী বা বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
শিহাব খান/আরকে