মেঘ-পাহাড়ের রাজ্যখ্যাত রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালিতে অবকাশযাপনের জন্য আসবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির সফরের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানা গেছে। বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মহানান্য রাষ্ট্রপতি আগামী ১০ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি সাজেকে অবকাশ যাপনের জন্য আসবেন। তবে আগামী ৬ তারিখ রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে চিঠি পাওয়ার পরই বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে। এছাড়া সাজেকের রিসোর্ট-কটেজ বন্ধ রাখার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

সাজেকে রাষ্ট্রপতির সফর উপলক্ষ্যে ওই সময়ে নিরাপত্তা বলয় জোরদার রাখতে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক বরাবর রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হকের সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আগামী ১০ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাঙামাটি জেলার সাজেক সফর করবেন। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও তার সফরসঙ্গীদের গমনাগমনের প্রশাসনিক, আবাসন ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন জানান, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি অবকাশ যাপনে আসবেন, তাই প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আমাদের সমিতির সঙ্গে একটি সভা হয়েছে। তবে উনার আগমনের বিষয়টি আগামী ৬ তারিখ চিঠি পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষ্যে ৮ তারিখ থেকে সব রিসোর্ট কটেজ বন্ধ রাখার ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি মহামান্য রাষ্ট্রপতি চাইছেন উনার অবস্থানের কারণে যাতে পর্যটকদের কোনো অসুবিধা না হয়। তবে উনার নিরাপত্তার স্বার্থে যদি কটেজ রিসোর্ট বন্ধ রাখতে হয়, আমরা পূর্ণ সহযোগিতা করব।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২০-২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিন রাষ্ট্রপতির সাজেক ভ্যালি সফরের কথা থাকলেও পরে অনিবার্য কারণে সফরটি স্থগিত করে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। ওই সফরকে কেন্দ্র করে ১৮-২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ দিন সাজেকের সব কটেজ-রিসোর্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সাজেক কটেজ মালিক সমিতি।

মিশু মল্লিক/আরকে