বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলিতে আতঙ্কে আছেন সীমান্তবর্তী বসবাসকারী স্থানীয় জনসাধারণ। গোলাগুলির ঘটনায় ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, কোনারপাড়া, ভাজাবনিয়া ও বাইশফাঁড়ি এলাকার শত শত পরিবার যে যেদিকে পারছে, নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে। 

এদিকে সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে সীমান্তের ১০০ গজ দূরত্বে থাকা মিশকাতুন নবী দাখিল মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানান বান্দরবান জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী। এছাড়া সীমান্ত এলাকার ৫টি বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মান্নান বলেন, আজ সকাল থেকে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার অভ্যন্তরে গোলাগুলি বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্ত এলাকার বাইশ ফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ গুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

সীমান্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয় জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিভাগ থেকে। এদিকে সীমান্তের সার্বিক বিষয় নিয় দুপুরে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে জানানো হয়েছে ৩৪ বিজিবির পক্ষ হতে।

এ নিয়ে পরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবে বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়ন।

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি নিরাপত্তা বাড়িয়েছে সীমান্তে। নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

আরকে