গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামী শুক্রবার থেকে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে। এ জন্য মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের কাছে মাঠ হস্তান্তর করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসক। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টার দিকে ইজতেমা মাঠের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কেন্দ্রে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। 

এর আগে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীদের কাছ থেকে ইজতেমা মাঠ বুঝে নেয় গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিল ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার মধ্যে ইজতেমা ময়দান বুঝে নিয়ে দ্বিতীয় পর্বের মুসল্লিদের ব্যবহারের জন্য হস্তান্তর করার। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা মঙ্গলবার বিকেল তিনটার আগেই ইজতেমা ময়দান দ্বিতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছি। 

এ সময় গাজীপুর জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ছাড়াও গাজীপুর সিটি করপোরেশন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ, বিশ্ব ইজতেমার সাদপন্থীদের মুরুব্বি প্রকৌশলী মহিবুল্লাহ, জোবায়ের পন্থী মুরুব্বি খন্দকার মেজবাহ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক বলেন, প্রথম পর্বের মত সব সুবিধা ২য় পর্বের জন্যও থাকবে। আগে ব্যবহৃত সব সরঞ্জামাদি আমরা চেক করেছি। সেখানে বিভিন্ন দপ্তরের কন্ট্রোল রুম, মুসল্লিদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সকল কার্যক্রম আগের মতোই বহাল থাকবে।

বিশ্ব ইজতেমার সাদপন্থীদের মিডিয়া সমন্বয়কারী মো. সায়েম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ময়দানটি বুঝে নেওয়ার পর তারা মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করছেন। মাঠ পরিচালনায় বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা কর্মীদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ব ইজতেমার সাদপন্থীদের মুরুব্বি আব্দুস সালাম বলেন, আমরা ইজতেমা ময়দানের সবকিছু ঠিকঠাক মত বুঝে পেয়েছি। মাঠে এখনও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, র‌্যাব, পুলিশসহ সকলেই ময়দান এলাকায় দায়িত্বরত আছেন। আশা করছি শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের ইজতেমা সম্পন্ন হবে। কাল বুধবার রাত থেকে মুসল্লিরা আসা শুরু করবেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছি যাতে সাদ সাহেবকে আমাদের ইজতেমায় যোগ দেওয়ার সুযোগ দেন। এখন পর্যন্ত আমরা এ ব্যাপারে কোনো উত্তর পাইনি।

উল্লেখ্য, তাবলিগ জামাতের বিবদমান বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

শিহাব খান/এএএ