সিরাজগঞ্জের শহীদ শেখ রাসেল পৌর শিশু পার্ক, যমুনা নদীর নৌকাঘাটের পন্টুন এবং স্টিমার ভাঙচুরের প্রস্তুতিকালে শিবিরের ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে পৌর এলাকার যমুনা নদীর শেখ রাসেল শিশুপার্ক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক নেতাকর্মীরা হলেন- সদর উপজেলার কাদাই গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে মো. হাসানুর রহমান হাসান (২২), ভারাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে মো. মুসা (২০), নয়াচড়া গ্রামের মো. জালাল শেখের ছেলে মো. ইসলাম শেখ (২১), চর ছোনগাছা গ্রামের নানু মিয়ার ছেলে মো. রবিউল ইসলাম (২৩), কয়েরগাতী গ্রামের খোকন তালুকদারের ছেলে মো. খালিদ হাসান (১৯), বানিয়াগাতী গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে তারিকুল ইসলাম (২০), পোড়াবাড়ী গ্রামের সিরাজুলের ছেলে আল ছাহাব (১৭), পাইকপাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে হুমায়ন কবির (২০), ভারাঙ্গা কড্ডা গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে মো. লাদেন শেখ (১৯), জারিলা গ্রামের হজরত আলীর ছেলে ছাব্বির হোসেন (১৭), জারিলা পোড়াবাড়ী গ্রামের হাসিনুর রহমানের ছেলে রাজু আহম্মেদ (২০), একই গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে নাজমুল হাসান (১৭), চন্দ্রকোনা গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে মো. আহাদ (১৬), বানিয়াগাঁতী গ্রামের সন্তোষ শেখের ছেলে শরিফুল ইসলাম (১৯) ও সয়াধানগড়া মধ্যপাড়া গ্রামের ছানু শেখের ছেলে আবির হোসেন সোহান ওরফে সৌভিক (১৬)।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, ভোর পৌনে ৬টার দিকে যমুনা নদীর বাঁশঘাট এলাকায় শিবিরের নেতাকর্মীরা ককটেল, লোহার রড, শাবলসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নৌকাঘাটের পন্টুন, স্টিমার এবং শেখ রাসেল পৌর শিশু পার্কের বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় তারা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে আটক করে। এ সময় আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়।

ওসি সিরাজুল আরও জানান, আটক সবাই শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও সদস্য। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সভাপতি শাহিনুর ও সেক্রেটারি জাহিদুলের সহায়তায় তারা বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুরের চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহাগ বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আটক ১৫ জনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শুভ কুমার ঘোষ/এমজেইউ