নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কয়েকটি প্রধান সড়ক বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এতে বিপাকে পড়েছেন রোগী ও জরুরি কাজে বের হওয়া মানুষ। আটকা পড়েছে পণ্যবাহী যানবাহন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম কয়েকজন পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলার প্রধান চারটি সড়ক বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। সড়কগুলো হচ্ছে- সোনারগাঁ যাদুঘরের দ্বিতীয় ফটকের পাশের সড়ক, গোয়ালদী সড়ক, আদমপুর বাজার সড়ক ও মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় কাঁচা বাজারের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একটি লেন। চারটি সড়ক বন্ধ করে দেওয়ায় উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের ২০ গ্রামের ও সোনারগাঁ পৌরসভার ১৬টি গ্রামের মানুষ যারা কাঁচা বাজার কিংবা হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছেন তারা দুর্ভোগে পড়েছেন।

সরেজমিনে বিকেল ৩টায় উপজেলার প্রধান চারটি সড়কে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা রাস্তার পাশে বসে কান্নাকাটি করছেন। পণ্যবাহী অনেক পিকআপ ভ্যান ও ট্রাক রাস্তায় আটকা পড়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক ও শিল্পকারখানায় কর্মরত মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।সোনারগাঁ পৌরসভার ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা ফাতেমা আক্তার সকালে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে সোনারগাঁ যাদুঘরের দ্বিতীয় ফটকের সামনে বাঁশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় আর যেতে পারছেন না।

রাস্তায় আটকে পড়া উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের প্রেমের বাজার গ্রামের বাসিন্দা আলী মোশারফ হোসেন বলেন, আমার শিশু কন্যা মারাত্মক অসুস্থ। এখন আমি কীভাবে হাসপাতালে যাব। এ কথা বলেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। 

সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পলাশ কুমার সাহা জানান, সোনারগাঁ উপজেলাকে করোনার রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি। মুমূর্ষু রোগী, গণমাধ্যম কর্মী ও যারা মুভমেন্ট পাস নিয়ে জরুরি কাজে বের হবেন তাদের যাতায়াত করার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। রফতানিমুখী ও বিভিন্ন পণ্যবাহী মালামালবাহী যানবাহন লকডাউনের আওতামুক্ত।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম জানান, সোনারগাঁয়ে করোনা রোগী ইদানিং বেশি।  এ কারণে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। বিশেষ প্রয়োজনে যাতায়াত করার প্রয়োজন হলে বাঁশ ওপরে তুলে যেতে পারবে। রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে মানুষের বেশি সমস্যা হলে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভেবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেখ-ফরিদ/আরএআর