কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দাবি করা চাঁদা না দেওয়ায় ডিশ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমানকে (৪৮) হত্যার হুমকি দিয়েছেন মাসুম সরদার (৩০) নামে এক ব্যক্তি। বেশ কিছু দিন ধরে মাসুম ও তার সহযোগীরা এ হুমকি দিয়ে আসছেন। এ ঘটনায় গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী ডিশ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে দৌলতপুর থানায় জিডি করেছেন। 

অভিযুক্ত মাসুম সরদার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরসাদীপুর গ্রামের রশিদ সরদারের ছেলে। ভুক্তভোগী ডিশ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম দক্ষিণ ফিলিপনগর এলাকার মৃত শরেস উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। 

ভুক্তভোগী ডিশ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ডিশ ব্যবসা করি। হঠাৎ করে মাসুম সরদার আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। প্রথমে মানুষের মাধ্যমে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা চাঁদা চায়। তার দাবি করা চাঁদা না দেওয়ায় আমাকে মোবাইলের মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়া শুরু করে। শুধু চাঁদা চায়নি, সে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক লাইনের বা ডিশ ব্যবসার শেয়ারও চায়। আমার ব্যবসায় যারা কাজ করেন, তাদেরকেও কাজ করতে দিচ্ছে না। তাদেরকেও হুমকি দেয়। মাসুম সরদার এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্ত। চাঁদা না দেওয়ার কারণে সে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। হুমকির কল রেকর্ড আমার কাছে সংরক্ষণ আছে। এ ঘটনায় আমি বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে দৌলতপুর থানায় জিডি করেছি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

জিডি সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মাসুম সরদার ডিশ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান ও তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদেরকে তার এলাকায় ডিশ ব্যবসা করতে দেবে না বলে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। ইতোপূর্বে ডিশ ক্যাবলের তার ও নুডস কেটে দিয়েছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টা ৫৬ মিনিটের দিকে মাসুম সরদার তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে হুমকি দেন। মাসুম সরদার মাহবুবুর রহমানকে বলেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ডিশের লাইন এবং ওয়াইফাই লাইন আমাকে ছেড়ে না দিলে ডিশ ও ওয়াইফাইয়ের কোনো তার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে থাকবে না এবং আপনিও হাসিনুরের মতো দুনিয়াতে থাকবেন না (২০২০ সালে সন্ত্রাসীরা হাসিনুরকে কুপিয়ে হত্যা করে), কথাটা মাথায় রাখেন। আইনের আশ্রয় নিলে, যদি কোনো পুলিশ আমার ও আমার লোকজনদের বাড়িতে আসে, তাহলে যেটা দেরিতে করতে চেয়েছিলাম সেটা আরও দ্রুত করব। 

অভিযুক্ত মাসুম সরদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডিশ ব্যবসায়ী মাহবুবুরের কাছে আমি চাঁদা চাইনি। এছাড়াও তাকে হত্যার হুমকিও দেইনি। তার অভিযোগ মিথ্যা। 

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

রাজু আহমেদ/আরএআর