নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইমদাদুল হক শিহাবের কোকের বোতলে মদ ঢালার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ভিডিও। এছাড়াও মদের বোতল ও নেশা করার ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে। 

জানা গেছে, ২০২৩ সালে ১৪ অক্টোবর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান  স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মো. ইমদাদুল হক শিহাবকে সভাপতি ও মাহাদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেন।

সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া আট সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইমদাদুল হক শিহাব মদের বোতল থেকে মদ কোকের বোতলে ঢালছেন। এ সময় পাশে থাকা একজন বলছেন ‘এই দেখুন বড় বড় মদারুরা কালকে চালানের জন্য মাল ভরছেন কোকের বোতলে।’ এছাড়াও সিগনেচার ব্রান্ডের মদের বোতলের সাথে তোলা হাস্যোজ্জ্বল ছবি ও নেশা করার ছবি ভাইরাল হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের এক সদস্য ঢাকা পোস্টকে বলেন,  সভাপতি মো. ইমদাদুল হক শিহাবের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি কিছুদিন আগেও হল শাখার সভাপতি আল মাসুদুর রহমান সোহেলের রুমের তালা ভেঙে রুম দখল করেন। এ নিয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। 

এ বিষয়ে আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইমদাদুল হক শিহাব ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি নেশা করি না। মজার ছলে ছবি ও ভিডিও করা হয়েছে। এসবের মধ্যে আমি নেই। আমি ক্যাম্পাসে শান্তির জন্য শিক্ষার্থীবান্ধব কাজকর্মের সাথে জড়িত। 

তিনি বলেন, কিছুদিন আগে হল শাখার সভাপতি আল মাসুদুর রহমান সোহেলের সাথে আমার ঝামেলা হয়েছিল। সে অভিযোগ দিয়েছিল, তবে সেটার মীমাংসা হয়েছে। তার হল কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষকবৃন্দ সমাধান করেছেন। এখন আবার এসব বিষয় নিয়ে নিউজ হলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

হল শাখার সভাপতি আল মাসুদুর রহমান সোহেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার সাথে মীমাংসা হয়েছে। ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইমদাদুল হক শিহাবের যেসব ভিডিও-ছবি ভাইরাল হয়েছে তা সুপার এডিট। আমি আর হলে থাকি না। আমাদের হল শাখাও বিলুপ্ত হয়েছে। নতুন কমিটি দেওয়া হবে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক মো. ফরিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওসি স্যার ছুটিতে আছেন। অভিযোগের দায়িত্বে কে আছেন তা আমি বলতে পারছি না। যদি জানতাম কোন অফিসার বিষয়টি তদন্ত করছে তাহলে আপনাকে জানাতে পারতাম।

হাসিব আল আমিন/আরএআর