রাস্তা পার হতে গিয়ে বাসচাপায় ভবঘুরে নারীসহ শিশু নিহত
নোয়াখালী সদর উপজেলায় রাস্তা পার হতে গিয়ে বাসচাপায় ভবঘুরে এক বৃদ্ধা ও শিশু নিহত হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে নোয়াখালী পৌরসভার সোনাপুর ইসলামিয়া মাদরাসা মোড়ের বাইপাস সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম জান্নাতুল ফেরদাউস (৮)। সে সদর উপজেলার চর করমুল্যাপুর গ্রামের জাকের হোসেনের মেয়ে। আর ওই বৃদ্ধা ভবঘুরে ভিক্ষুক ছিলেন। তার মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, নিজের ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীসহ ইসলামিয়া মাদরাসা সংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন ব্যবসায়ী জাকের হোসেন। এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে জান্নাতুল ফেরদাউস ছিল বড়। বিকেলে ওই বৃদ্ধার সঙ্গে সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে পার হওয়ার সময় সোনাপুর থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগতির একটি যাত্রীবাহী বাস জান্নাতুলসহ তাদের দুইজনকে চাপা দেয়। এসময় বাসটি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় তা আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. দিদার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভবঘুরে ভিক্ষুককে জান্নাতের পরিবার দুপুরে খাবার খাওয়ায়। ভিক্ষুক চোখে কম দেখায় তাকে রাস্তা পার করাতে এগিয়ে যায় জান্নাত। এমন সময় সাগরিকা পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দিলে দুজনই ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরবর্তী সময়ে পরিবারের সদস্যরা তাদের সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে জান্নাতের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে আর ভিক্ষুকের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নিহত জান্নাতুল ফেরদাউসের বাবা জাকের হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ভ্যান গাড়ি করে শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা করি। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার বাসা থেকে বের হয়ে আসার পর আর বাসায় যাইনি। সন্ধ্যায় লোকজনের মাধ্যমে আমার মেয়ের কথা শুনতে পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে তাকে মৃত দেখতে পাই।
সুধারাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা নিশ্চিত হয়েছি সাগরিকা পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দিলে দুজনই ঘটনাস্থলে মারা যান। জান্নাতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভবঘুরে ভিক্ষুক ওই নারীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। বাসটি খুঁজে বের করতে চেষ্টা চলছে।
হাসিব আল আমিন/আরকে