গাজীপুরের শ্রীপুরে মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে তাকে কারখানার সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা দিয়ে চাঁদাদাবি ও অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তার হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় অবরোধ করে, মহাসড়কের কয়কেটি স্থানে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রীপুরের এসিল্যান্ড, শ্রীপুর থানা পুলিশ ও মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চেষ্টা চালিয়েও তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে পারেনি। পরে ৬ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৪টার দিকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধা বিবেচনা করে দুপুর ২টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রেখে নেতাকর্মীরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান ।

গ্রেপ্তার মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকন (৫০) শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংগারদিঘী গ্রামের মো. ইদ্রিস আলীর ছেলে। তিনি মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।

নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, খোকন চেয়ারম্যান চক্রান্তের শিকার। তাকে সাজানো মিথ্যা মামলায় গ্রপ্তার করা হয়েছে। আমরা এলাকাবাসী তার মুক্তির দাবি করছি। একটি অভিযোগে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই এক তরফা মামলা রুজু হয়েছে। এতে খোকন চেয়ারম্যানের বিরোধী একটি পক্ষের উস্কানি আছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে মামলা রুজু হলে প্রকৃত ঘটনা সবাই জানতে পারতো।

জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মিজানুর রহমান রায়হান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বাবাকে মিথ্যা সাজানো মামলা গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকাবাসী ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে। তারা প্রকৃত অপরাধীর বিচার দাবি করছে।’

শ্রীপুর থানা পুলিসের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহ জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম খোকনসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ফরচুন গ্রুপের কারখানার নির্মাণকাজ বাধা দিয়ে চাঁদা দাবি ও কর্মচারীকে অপহরণের অভিযোগে মামলা করা হয়। ওই কারখানার কেয়ারটেকার জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। বুধবার রাত ১১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শিহাব খান/আরকে