ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুনে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতের শহর কক্সবাজারে ভিড় করেছিলেন লাখো পর্যটক। ভালোবাসার রঙ ও সমুদ্রের উত্তাল টেউয়ের ছন্দে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন পর্যটকসহ তরুণ-তরুণীরা। 

পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, বসন্ত ও ফাল্গুনের সূচনা ঘিরে অগণিত পর্যটক দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন কক্সবাজারে। গতকাল সকাল থেকে সৈকতের ছয়টি পয়েন্ট পর্যটকদের পদচারণায় মুখর ছিল। চার শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। পর্যটকদের সরব উপস্থিতিতে সৈকত শহর যেন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়। এ জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা।

পারিহা নামে একজন পর্যটক বলেন, বিশেষ দিনটা উপভোগ করতে  এসেছিলাম। এখানে মানুষের ভিড় বেশি। খাবারের দামও বেশি। 

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ছোট-বড়-মাঝারি সব হোটেল-মোটেল, কটেজ, রেস্টহাউস ও গেস্ট হাউসগুলো আগে থেকেই বুকিং হয়ে যায়। পর্যটকের চাপ ২২ ফ্রেবুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। 

জেলা প্রশাসনের পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, পর্যটক হয়রানির অভিযোগ যেখানে পাচ্ছি আমরা সেখানে অভিযান পরিচলনা করছি।  পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সবসময়ই মাঠে আছি।

সাইদুল ফরহাদ/এনএফ