নিহত রাজিউর রহমান

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে নিহত ছয় শ্রমিকের মধ্যে একজনের বাড়ি দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলায়। তার নাম রাজিউর রহমান (২২)। তিনি বেতদিঘি ইউনিয়নের মাদিলাহাট জামাদানি গ্রামের আব্দুল মান্নান মন্ডলের ছেলে।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রাজিউর রহমানের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি বেতদিঘি ইউনিয়নের জামাদানি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। 

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে ১৩২০ মেগাওয়াটের ‘এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টে’ কর্মরত শ্রমিকরা তাদের বেতন-ভাতার দাবিতে গত ১৭ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ছয় শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন। ওইদিন পাঁচজন নিহত হন। 

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাজিউর রহমানকে তার সহকর্মীরা উদ্ধার করে চট্টগ্রামের বেসরকারি পার্ক ভিউ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ১৯ এপ্রিল রাত দেড়টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।  

পরে রাজিউর রহমানের মরদেহ মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাতে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘি ইউনিয়নের জামাদানি গ্রামে আনা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহত রাজিউর রহমানের বাবা আব্দুল মান্নান মণ্ডল বলেন, সংসারে অভাবের কারণে ছোট ছেলে রাজিউর রহমান ছয় মাস আগে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকের চাকরি নেয়। সেখানে কাজ করতে গিয়ে মাঝে মধ্যে নানা দুর্ভোগের কথা সে আমাদের জানাতো। 

তিনি বলেন, বেতন-ভাতা প্রদানে নানা অনিয়মেরর কারণে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের অসন্তোষ ছিল। তাই তারা আন্দোলন করেন। কী দোষ ছিল আমার ছেলের? দাবির কথা বলায় ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলল। 

মাহাবুর রহমান/আরএআর