একটা সময় ছিল যখন নতুন বইয়ের প্রতি বেশ টান অনুভব করতো। ভাবনার জগৎ সাজাতো গল্পের চরিত্রকে ঘিরে। বইকে ঘিরে থাকতো মানুষের আনন্দ-বিনোদন, সুখ-দুঃখ আর ভালোবাসার গল্প। মানুষের সঙ্গে মানুষের কথোপকথনের বিষয় থাকতো বই সম্পর্কিত। মানুষ তার সূক্ষ্ম অনুভূতির প্রকাশ দেখতে পেতো বইয়ের মধ্যে। সময়ের দোলাচলে বইপাগল মানুষের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে নানা ডিজিটাল মাধ্যম।

বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে তাই নারায়ণগঞ্জে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মহান শহীদ দিবসে ‘বই বিনিময়’ কর্মসূচির আয়োজন করেছে ‘ধাবমান’।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই বই বিনিময় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এদিন বিকাল ৩টা থেকে শুরু করে এই বই বিনিময় কর্মসূচি চলে রাত পর্যন্ত।

একদিনের এই আয়োজনে বইপ্রেমীরা অন্য বইপ্রেমীদের সঙ্গে বই বিনিময়ের সুযোগ পান। এতে করে বইপড়া আরো সহজলভ্য হচ্ছে বলে মনে করেন কর্মসূচিতে আসা পাঠকেরা।

অন্যদিকে আয়োজকরা বলছেন, একটি সমাজকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হলে বইয়ের প্রতি জনসাধারণকে আগ্রহী করে তোলা অত্যাবশ্যক। পুঁজিবাদী শিক্ষিত সমাজ সাহিত্যবিদ্বেষী হয়ে উঠেছে। বই মানুষের মূল্যবোধ বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমাজে তথ্য প্রযুক্তি বিস্তারের সঙ্গে পাঠাগার স্থাপন করার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া দরকার।

ধাবমানের উদ্যোক্তারা বলেন, মানুষের অন্তর্নিহিত সৃজনশীলতা এবং মননশীলতাকে তুলে ধরতে হলে বই পড়ার ব্যাপারে মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে হবে। বই পড়ার মতো নির্মল বিনোদন আর কিছু নেই। তবেই আমরা একটি সুন্দর দেশ পাবো ঠিক একটি সুন্দর কবিতার মতো। তাই বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে নিজের ঘরে থাকা বইয়ের বিনিময়ে আরেকটি নতুন কোনো লেখকের বই নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে ‘ধাবমান’ সাহিত্য সংগঠন।

শিপন সিকদার/পিএইচ