রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু কায়সার খান বলেছেন, পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন লেখক ও মনীষীদের বই পড়তে হবে। আমরা এখন বেশিরভাগ স্মার্টফোন, কম্পিউটার ও ল্যাপটপে পিডিএফ ফাইলে অথবা গুগলে সার্চ করে বই পড়ি। কিন্তু কাগজের বই পড়ার মধ্যে আলাদা একটি স্বাদ রয়েছে। আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে আমাদের স্মার্ট নাগরিক হতে হবে। স্মার্ট নাগরিক হতে হলে বেশি বেশি বই পড়তে হবে।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের আজাদি ময়দানে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির আয়োজনে তিন দিনব্যাপী বই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, কোভিডের কারণে তিন বছর পর আবার রাজবাড়ীতে বইমেলা শুরু হয়েছে। আমরা কেন জানি এখন বই পড়া ও বই কেনা থেকে দূরে সরে গেছি। নতুন প্রজন্মের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, আমরা বেশি বেশি বই পড়ব ও বই কিনব।

এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সভাপতি আবু কায়সার খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহীম টিটন ও মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি সংসদের সভাপতি কবি সালাম তাসির।

জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির কালচারাল অফিসার পার্থ প্রতিম দাস ও রাজা সূর্য কুমার ইনস্টিটিউটের সহকারী শিক্ষক চায়না রাণী সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সূবর্ণা রাণী সাহা।

এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শোভন রাংসা, এলডিসি মো. সাইদুর রহমান, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মো. খায়রুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার কামরুল ইসলাম মারুফ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংকন পাল, সহকারী কমিশনার নাহিদ আহমেদ, সহকারী কমিশনার মোল্লা ইফতেখার আহমেদ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম নওয়াব আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাবসহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন স্কুল কলেজ শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা বিভিন্ন লেখকদের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং বইমেলায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভা শেষে মেলা প্রাঙ্গণে জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। মেলায় বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থা ও সাহিত্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ২৩টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/কেএ