রান্না ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ফ্রিজে বাসি-পচা খাবার রাখায় নওগাঁয় এক রেস্টুরেন্টেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে শহরের রুবির মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে পঞ্চ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিককে এই জরিমানা করা হয়। এ অভিযান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা।

অভিযানে রেস্টুরেন্টটির রান্না ঘরে অভিযান চালিয়ে ফ্রিজে বাসি-পচা খাবার মজুত, রান্নার কাজে ব্যবহৃত পচা রসুন, রান্না করা সবজি, রান্না করা গরুর মাংস, রান্না করা মুরগির মধ্যে পশম, পোড়া তেল, মসলার মধ্যে তেলাপোকা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখাসহ নানা অপরাধে রেস্টুরেন্টটির অস্বাস্থ্যকর সব খাবার জব্দ করা হয়। পরে রেস্টুরেন্টের মালিকের উপস্থিতিতে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ অনুসারে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

নওগাঁ জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা চিন্ময় প্রামানিক বলেন, হোটেল ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ ও সভা সেমিনার করে বলা হয়েছিল রান্না করা খাবারগুলো ওপরে নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট রান্না করার তারিখ সময় দিয়ে রাখতে। কিন্তু এই রেস্টুরেন্টের মালিক বাজার থেকে নোংরা পলিথিন কিনে এনে সেই পলিথিনের মধ্যে খাবারগুলো রেখে দিয়েছেন। তার মধ্যে কোনো তারিখ নেই আবার একই ফ্রিজে রাখা। এজন্য নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ অনুযায়ী ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও কুইন্স সুইটস অ্যান্ড পেস্টি বেকারি ও হাজির নজিপুর হোটেলকে সতর্ক করে দেওয়া হয়।

নওগাঁতে এটিই তাদের প্রথম অভিযান উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্যের যে আইন রয়েছে খুবই শক্ত এবং জরিমানার পরিমাণও বেশি। সেজন্যই আমরা গত দুই বছর ধরে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। পাশাপশি রেস্টুরেন্টগুলো নিয়মিত মনিটরিং করা হয়েছে। এখন থেকে কোনো রেস্টুরেন্টে এই সমস্ত অপরাধ ধরা পড়লে আমরা তাদেরকে জরিমানার আওতায় আনব।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা বলেন, যে সকল রেস্টুরেন্ট মালিকদের প্রশিক্ষণ ও সচেতন করার পরও কথা শুনছে না তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় আনছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে এই পঞ্চ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা শেষে তাদেরকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানাকৃত টাকা তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয়েছে। আগামীতেও পুরো জেলায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

আরমান হোসেন রুমন/আরএআর