ঋণ খেলাপি ও হলফনামায় তথ্য গোপন করার পরও পটুয়াখালী পৌরসভার দুই মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধতা পেয়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার তৈরি হয়েছে পৌর শহরে। আপিলকারী পক্ষের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডা. শফিকুল ইসলাম রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন। 

পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র পদে লড়াইয়ে ছয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে সদ্য সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদের পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তিনি নিজে, তার বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ ও স্ত্রী মার্জিয়া আক্তার। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র ডা. শফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন এবং নাসির উদ্দিন খান।

এর মধ্যে আবুল কালাম আজাদ ও মহিউদ্দিন আহমেদের মনোনয়নপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেন আরেক প্রার্থী ডা. শফিকুল ইসলাম। রিটার্নিং কর্মকর্তার ধার্য দিন ২০ ফেব্রুয়ারি আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে মহিউদ্দিন আহমেদ ও আবুল কালাম আজাদের ঋণ খেলাপি আর হলফনামায় তথ্য গোপন করার সত্যতা পেলেও মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম।

আবুল  কালাম আজাদের হলফনামায় তিনি পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড পটুয়াখালী শাখায় ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ বলে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তার খেলাপি ঋণ ২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করে পটুয়াখালী পদ্মা ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক একটি চিঠি দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। সেই হিসাবে ব্যাংকের সঙ্গে হলফনামার ১৫ কোটির টাকার বিশাল ব্যবধান রয়েছে।

ডা. শফিকুল ইসলামের আইনজীবী শওকত মৃধা বলেন, নির্বাচনী বিধি অনুসারে ঋণ খেলাপি ও হলফনামায় তথ্য গোপন করলে মনোনয়ন বাতিল হবে। কিন্তু সেই বিধান অমান্য করে আবুল কালাম আজাদ ও মহিউদ্দিন আহমেদের প্রার্থিতা বহাল রাখা হয়েছে। এতে আমরা মনে করি নির্বাচনের বিধান লঙ্ঘন হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবো।

এর আগে সদ্য সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী মার্জিয়া আক্তারের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্রিং কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, আগামী ৯ মার্চ ইভিএমের মাধ্যমে পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার কথা রয়েছে। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর