নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৫ শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে এ ঘটনা ঘটে। তাদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

আহতরা হলেন, ৮১ নম্বর ক্লাস্টারের বাসিন্দা রবিউল (৫), সোহেল (৫), রাসেল (৩), রশমিদা (৩), জোবায়দা (১১), সফি আলম (১২), বসির উল্যা (১৫), আমেনা খাতুন (২৪) ও মোবাশের (৩২)। 

সকাল সাড়ে আটটার দিকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে আব্দুর শুকুরের রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজ হয়। একপর্যায়ে গ্যাসের সিলিন্ডারটির বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ৫ শিশুসহ ৯ জন আহত হয়। 

খবর পেয়ে ভাসানচর থানা পুলিশের সহায়তায় দগ্ধ সবাইকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ২০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুরে তাদের জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাসানচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাওসার আলম ভূঁইয়া। 

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় রোহিঙ্গারা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। পরে পুলিশ গিয়ে দগ্ধ সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আগুনে ক্লাস্টার ঘরটির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। বাতাসের সঙ্গে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় আহত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। আহতদের প্রথমে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার ঢাকা পোস্টকে বলেন, দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে একটি শিশুর অবস্থা বেশি খারাপ। অন্যদের অবস্থা সংকটাপন্ন নয়। হাসপাতালে ভর্তির পর তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হাসিনা জাহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৯ জন রোহিঙ্গাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা ৯ জনের মধ্যে ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বাকি ২ জন আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

হাসিব আল আমিন/এমএএস