বাগেরহাটে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. মো. আতিকুস সামাদ এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. মোর্শেদ আলম, আটাগাছার আ. করিমের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম, গড়েরকান্দা গ্রামের মো. জুম্মান আলী সরদারের ছেলে মো. মাকসুদুর রহমান, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মো. আশরাফুল আলী ফরাজীর ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার নাটইখালী গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মোর্শেদ আলম, সাইফুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম ও মাকসুদুর রহমানকে ছয় বছর এবং তরিকুল ইসলামকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নাশকতার উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর রাতে জেলা সদরের দড়াটানা ব্রিজ সংলগ্ন গোবর দিয়া এলাকায় অবস্থান নেয় জেএমবির সদস্যরা। পুলিশ খবর পেয়ে অভিযানে গেলে জেএমবি সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। একপর্যায়ে ধাওয়া করে পুলিশ চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে শটগানের গুলির খোসা ও প্লাস্টিকের সাদৃশ্য বস্তু জব্দ করা হয়।

পুলিশ তদন্ত শেষে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ২ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এই রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মো. শহিদুজ্জামান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের মামলায় আদালত পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সবাই জেএমবির সক্রিয় সদস্য।

এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের এই কৌঁসুলি।

শেখ আবু তালেব/এএএ/এমজেইউ