সিলেটে গণপরিবহন চালুর দাবিতে বিক্ষোভ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান কঠোর বিধিনিষেধেও গণপরিবহন চালাতে চান সিলেটের পরিবহন শ্রমিকরা। গাড়ি চালুর দাবিতে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকালে সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস এবং মাইক্রোবাস শ্রমিকরা সিলেটের কদমতলী এলাকায় গণপরিবহন চালুর দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সমাবেশ থেকে সরকারের প্রতি দুই দফা দাবি জানান শ্রমিকরা।

দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলে নির্দেশ প্রদান করতে হবে এবং ১০ টাকা কেজির (ভিজিএফ) চাল শ্রমিকদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। প্রাইভেট গাড়ি চলছে। লকডাউনের অজুহাতে শুধুমাত্র গণপরিবহন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে দেশের লাখ লাখ শ্রমিক রমজান মাসে না খেয়ে আছে।

তারা আরও বলেন, এই অমানবিক অবস্থা থেকে শ্রমিকদের মুক্তি দিতে অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর নির্দেশ দিতে হবে। বক্তারা গণপরিবহন শ্রমিকদের ভিজিএফের আওতায় এনে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

এদিকে চলমান কঠোর বিধিনিষেধে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। কর্মসূচি চলাকালে মানা হয়নি শারীরিক দূরত্ব। অধিকাংশ শ্রমিকের মুখে ছিল না মাস্ক।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের বলেন, লকডাউন কার্যকর করতে সিলেট মহানগর এলাকায় বিভিন্ন প্রবেশমুখে ট্রাফিক বিভাগের ছয়টি চেকপোস্ট এবং শহরের ভেতরে ১৪টি বাঁশের ব্যরিকেড দেওয়া হয়েছে। 

বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের আরও বলেন, এছাড়া থানা, ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্র সীমানাধীন এলাকায় দিনরাত পুলিশ টহল দিচ্ছে। জনগণকে সরকারি বিধিনিষেধ মানাতে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। কোনোভাবেই গণপরিবহন চলতে দেওয়া হবে না।

সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউনে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলে। কিন্তু আমাদের বাস-গাড়ি বন্ধ। আমাদের শ্রমিকরা খাবে কী করে? তাই আজ আমরা সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের প্রতি দুই দফা দাবি জানিয়েছি।’

সম্প্রতি বিধিনিষেধ অমান্য করে কদমতলী বাস টার্মিনাল থেকে রাতের আঁধারে সিলেট-ঢাকা বাসের বিকল্প হিসেবে প্রতিদিন ৬০-৭০টি মাইক্রোবাস চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

বিনিময়ে শ্রমিক নেতাদের লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে এলে তারা মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। এরপরই গণপরিবহন চলাচলের দাবিতে রাজপথে নামেন শ্রমিকরা।

এমএসআর/তুহিন আহমেদ