নবী হোসেন, আব্দুল হান্নান ও আব্দুল মান্নান

চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরে বালুভর্তি একটি বাল্কহেড ডুবে নবী হোসেন (২১) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের মিরসরাই-সীতাকুন্ড এলাকার একটি খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় সুকানি আব্দুল মান্নান (৩০) ও ইঞ্জিন মিস্ত্রি আব্দুল হান্নানসহ এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহত নবীর চাচাতো ভাই মেজবাহ উদ্দিন হৃদয় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নবী হোসেন লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বালুরচর গ্রামের ইব্রাহিম বেপারীর ছেলে।

নিখোঁজ সুকানি মান্নান ও মিস্ত্রি হান্নান একই এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে। নিখোঁজ হওয়া অন্য শ্রমিকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

পরিবারের বরাত দিয়ে মেজবাহ উদ্দিন হৃদয় জানান, নবী, হান্নান ও মান্নান চাচাতো ভাই। তারাসহ চট্টগ্রামের একজন বাসিন্দা ওই বাল্কহেডে ছিলেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বালু নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপের উদ্দেশ্যে তারা রওয়ানা দেন। পথে বাল্কহেডটি ডুবে গিয়ে চারজনই নিখোঁজ হন। অন্য বাল্কহেডের শ্রমিকদের মাধ্যমে ঘটনাটি পরিবারের লোকজন জানতে পারে। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের খোঁজ নেওয়া হয়। ঘটনার চার দিন পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে মীরসরাই-সীতাকুন্ড এলাকার একটি খাল থেকে নবী হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জোয়ারের সঙ্গে সাগর থেকে তার মরদেহ খালটিতে ভেসে এসেছে। হান্নান ও মান্নানসহ তিনজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামগতি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাটি আমাদের জানা নেই। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকেও কিছু জানানো হয়নি।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এমজেইউ