ঢাকার বেইলি রোডের ভবনে আগুনের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একই পরিবারের পাঁচজন মারা গেছেন। তাদের লাশবাহী হিম গাড়ি সরাইলের শাহবাজপুরের খন্দকার বাড়িতে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে নিয়ে ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারকসহ তার পরিবারের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাশবাহী কফিনগুলো পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা, পুরো গ্রাম জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। প্রবাসীদের শেষবারের মতো দেখতে ভিড় জমান আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ আশপাশের মানুষ। 

স্থানীয় জালাল মিয়া বলেন, প্রথমে দেখলাম একটা লাশবাহী গাড়ি। পরে দেখি দুইটা। ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম, গাড়ি আসলে তিনটাই এবং সবগুলোই লাশবাহী। আরও দুই কদম এগিয়ে দেখতে পেলাম, তিনটা গাড়ির পেছনে আরও একটা গাড়ি। সেটিও লাশবাহীই। এমন দৃশ্য এ গ্রামে বিরল। বুক কাঁপছে এসব দেখে। 

বেইলি রোডের আগুনে মারা যাওয়া একই পরিবারের পাঁচজনের জন্য খোঁড়া হচ্ছে কবর। ছবি: ঢাকা পোস্ট

নিহত মোবারকের চাচা আব্দুল কাইয়ূম ঢাকা পোস্টকে জানান, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ইতালিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মোবারক। সম্প্রতি তার স্ত্রী-সন্তানরা ভিসাও পেয়েছিলেন। তাদেরকে সঙ্গে করে ইতালি নিয়ে যেতেই দেশে আসেন মোবারক। এরই মধ্যে অগ্নিকাণ্ডে পরিবারের সবার মৃত্যু হলো। আজ বিকেলে আসর নামাজের পর শাহবাজপুর গ্রামের কবরস্থানে তাদের মরদেহ দাফন করা হবে।

যারা মারা গেছেন তারা সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামের একই পরিবারের। নিহতরা হলেন ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক, তার স্ত্রী স্বপ্না (৩৫), দুই মেয়ে সৈয়দা কাশফিয়া (১৫) ও সৈয়দা নূর (১২) এবং ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ (৭)।

এএএ