ইনসেটে নিহত মা-মেয়ে

রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত স্ত্রী রুবি রায় (৪০) ও মেয়ে বিয়াংকা রায়ের (১৭) মরদেহ নিয়ে পোল্যান্ড প্রবাসী উত্তম কুমার রায় বাড়ি ফিরেছেন। হবিগঞ্জের মাধবপুরের চৌমুহনী ইউনিয়নের বানেশ্বরপুর গ্রামে শনিবার (২ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে দুইজনের মরদেহ নিয়ে আসেন তিনি।  এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। 

গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় খাবার আনতে গিয়ে আগুনে রুবি রায় ও তার মেয়ে বিয়াংকা রায়ের মৃত্যু হয়। 

স্ত্রী ও মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে শুক্রবার (১ মার্চ) দিবাগত রাতে পোল্যান্ড থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন উত্তম কুমার রায়। সব কাগজপত্র ও অন্যান্য কাজ শেষ করে শনিবার (২ মার্চ) সকালে মরদেহ নিয়ে তিনি রওনা হন হবিগঞ্জের উদ্দেশ্য। গ্রামের বাড়িতে দুপুর ২টায় মরদেহ এসে পৌঁছামাত্র কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিহত মা-মেয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

উত্তম কুমার রায়ের বড় ভাই বিঞ্চু রায় জানান, তার ছোট ভাই উত্তম কুমার রায় ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় হুন্দাই কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত অবস্থায় সেখানে ফিলিপাইনের নাগরিক রুবি রায়কে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে তিনি ওই কোম্পানির কাজের জন্য পোল্যান্ড যান। এ সময় তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে দেশে রেখে যান। তারা ঢাকার মালিবাগে থাকতেন।

প্রতিবেশী অজয় মিহির দেব বলেন, উত্তম কুমার রায় পোল্যান্ড প্রবাসী। উনার স্ত্রীও ফিলিপাইনের নাগরিক। উনার মেয়ে বিয়াংকা দেব অত্যন্ত মেধাবী ছিল। তাদের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।

চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আমি নিহত মা-মেয়ের আত্মার শান্তি কামনা করছি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

আরএআর