ঝালকাঠির নলছিটিতে একটি মুরগির খামারে অগ্নিকাণ্ডে ২০০ মুরগি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খামারটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে খামারি মোখলেস মল্লিক। ভেঙে গেছে তার স্বপ্ন। 

শনিবার (২ মার্চ) রাতে পৌরসভার গৌরিপাশা এলাকার মল্লিক বাড়ির শিমুল মল্লিকের খামারটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। শিমুল মল্লিক ওই গ্রামের মোখলেস মল্লিকের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী। 

ক্ষতিগ্রস্ত খামারি মালিক মোখলেস মল্লিক বলেন, গভীর রাতে হঠাৎ অনেক জোরে শব্দ শুনে বাইরে এসে দেখি আমাদের মুরগির খামারে আগুন জ্বলতেছে। আমি চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও ততক্ষণে খামারটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খামারটির মধ্যে কয়েক বছর যাবৎ মুরগি পালন করে সংসার চালাচ্ছিলেন তিনি। অগ্নিকাণ্ডের সময়ও প্রায় ২০০ দেশি মুরগি ছিল খামারটিতে। এছাড়া মুরগির খাবারের জন্য গতকাল ১০ মণ ধান রেখেছিলাম। 

তাদের সঙ্গে প্রতিবেশী হারুন মল্লিকের ছেলে জাকিরের সঙ্গে এই খামার নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। আর গভীর রাতে তারাই আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তার প্রায় চার লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান খামারি মালিক। 
 
খামারি মোখলেস মল্লিকের পুত্রবধূ শাহনাজ বলেন, খামারটি বানাতে আমরা হারুন মল্লিকের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়েছিলাম। যখন খামারে মুরগি উঠাইছি তখন তাদের নগদ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। বাকি ৬০ হাজার টাকার জন্য তারা আগুন দিয়ে খামারটি জ্বালিয়ে দিয়েছে। এতে আমাদের ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত জাকির মল্লিকের বাবা হারুন মল্লিক বলেন, আমার ছেলে জাকির চরমোনাই মাহফিলে ছিল। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। 

নলছিটি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মুরাদ আলী বলেন, অগ্নিকাণ্ডে মুরগিসহ খামারে থাকা সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ লিখত অভিযোগ দিলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরকে