নাব্যতা সংকটের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীতে ১৮৩ টন পাথরবোঝাই একটি জাহাজ আটকে পড়েছে। জাহাজটি ভারতের ময়া থেকে বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ আসছিল। পাথরবোঝাই জাহাজ আটকে পড়ায় গত ১৬ দিন থেকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সুলতানগঞ্জ-ময়া নৌপথে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

পাশ্ববর্তী বন্ধুপ্রতিম দেশের সাথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহজ করার লক্ষ্যে গত ১২ ফেব্রুয়ারি নতুন করে চালু হয় সুলতানগঞ্জ-ময়া নৌপথ। এরপরে পাথরবোঝাই ‘এমভি আতিয়া’ জাহাজটি রওনা হয় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। মেঘনা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এই পাথর আমদানির এলসি খোলেন মনিরুজ্জামান নামের এক ব্যবসায়ী। কিন্তু সুলতানগঞ্জ ঘাট থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ সীমান্তে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর হাকিমপুর চরে এসে জাহাজটি আটকা পড়ে। ফলে এই নৌপথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

জাহাজ মাস্টার জুনায়েদ মিয়া বলেন, ভারতের ময়া বন্দর থেকে ১৮৩ টন পাথর নিয়ে আসার সময় আমরা এখানে আটকা পড়েছে। সামনে তিন থেকে চারশ ফিট জায়গা আছে যেখানে পানি একদম কম। যার কারণে আমরা এই জায়গায় আটকা পড়েছি। যদি জায়গাটা ড্রেজার দিয়ে খনন করা যাইতো তাহলে আমরা জাহাজটা নিয়ে আগাতে পারতাম। এছাড়া এই জাহাজ থেকে ৪০ বা ৫০ টন পাথর অন্য জাহাজে দেওয়া গেলেও জাহাজটি নিয়ে যাওয়া যেত।

তিনি আরও বলেন, এই জায়গাতে চলাফেরা খুবই কষ্ট। বাজার অনেক দূরে। আমরা ঠিকমতো বাজারে যেতে পারি না। জাহাজ থেকে ঠিকমতো নামতে পারি না।

জাহাজ গ্রিজার তুহামিম বলেন, এই জায়গায় পানি একটু বেশি হলে আমরা চলে যেতে পারতাম। এই পোর্ট থেকে ওই পোর্টে যাওয়ার জন্য যতটুকু পানি প্রয়োজন ততটুকু পানি আমাদের এখানে নেই।

পণ্য আমদানিকারক মনিরুজ্জামান মোবাইল ফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা আরেকটি জাহাজের মাধ্যমে পণ্য অর্ধেক মতো খালাস করে অর্থাৎ দুইটি জাহাজে করে পণ্য নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছি। খুব শ্রীঘই একটি সমাধান হবে আশা করছি।

বিআডব্লিউটিএ পরিচালক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের নিয়মের বাইরে গিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেশি পরিমাণ পণ্য জাহাজে করে নিয়ে আসছিল। তারা আমাদের নিয়মনীতি ভায়োলেন্স করেছে। এই কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, সে এখন আরেকটি জাহাজ দিয়ে পণ্য নিয়ে যেতে পারে। তবে এতে কাস্টমসের অনুমতির বিষয় জড়িত আছে। আমরা যতটুকু জানি আমদানিকারক কাস্টমসের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কাস্টমসের অনুমতি পেলে দুটি জাহাজ মিলে পণ্য নিয়ে যেতে পারবে।

আশিক আলী/আরকে