আল আমিন খান

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পোলেরহাট আজহারিয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে চলমান দাখিল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র স্মার্টফোনে ফাঁসের অপরাধে আল আমিন খান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার কারণে কেন্দ্রের ২১ শিক্ষককে এক বছরের জন্য অব্যাহতি এবং আল আমিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৩ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলমান ইংরেজি পরীক্ষায় এই ফাঁসের বিষয়টি হাতেনাতে ধরেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম তারেক সুলতান।

গ্রেপ্তার আল আমিন খান মোরেলগঞ্জ উপজেলার সোনাখালি গ্রামের মো. মাসুম খানের ছেলে। প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে উত্তর সরবরাহ করছিলেন আল আমিন খান। এই মামলার অন্য দুই আসামি হচ্ছেন- পঞ্চকরণ দাখিল মাদরাসার শিক্ষক নজরুল ইসলাম গাজী এবং খারুইখালি দাখিল মাদরাসার শিক্ষক এমদাদ হোসেন। প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকায় এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ইউএনও এসএম তারেক সুলতান বলেন, এই চক্রের সঙ্গে অনেকেই জড়িত রয়েছে। আমরা যুবক আল আমিনের ফোনে প্রশ্নপত্র পেয়েছি। সে শিক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহ করছিল। প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে আল আমিন ও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে কেন্দ্রের ২১ শিক্ষককে এক বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নতুন করে নিয়োগ দেওয়া কক্ষ পরিদর্শকরা পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রসঙ্গত, এদিন পোলেরহাট আজহারিয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে চলমান ইংরেজি পরীক্ষায় ৪৭৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।

শেখ আবু তালেব/এমজেইউ