রাজবাড়ীর কালুখালীতে বাড়ি থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডেকে নিয়ে হাতুড়ি পেটা করা মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাস (৬৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল রোববার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে আটটার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাস উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের লাড়িবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে তার ওপর হামলা হয়।

নিহত ব্যক্তির ছেলে মনজিৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি (রোববার) রাতে খাওয়া শেষ করে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১টার পর বাবার ঘরের দরজায় টোকা দেন। বাইরে থেকে বলা হয়, আপনার সঙ্গে কথা আছে, আমরা রাজবাড়ী থেকে ডিবির লোক এসেছি। একটু কথা বলে চলে যাব। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে আমার বাবার জামার কলার ধরে বাইরে নিয়ে আসেন হামলাকারীরা। এরপর মাটিতে ফেলে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়ি ও রাইফেলের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়। হামলাকারীরা বেশ কয়েকটি ফায়ার করে। পরে তারা চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলার সঙ্গে ১০-১২ জন জড়িত বলে অভিযোগ মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলের।  

হামলার ডিবির নাম আসা প্রসঙ্গে ডিবির ওসির সরকারি নম্বরে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।তিনি একটি অপারেশনে আছেন বলে জানান পুলিশের ঊর্ধতন এক কর্মকর্তা।

কালুখালী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসাইন বলেন, রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাস মারা গেছেন। মামলায় ছয়জন এজাহারভুক্ত আসামি ছিল। তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মামলায় ৩০২ ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মুকিত সরকার বলেন, মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বাসের নিহতের ঘটনায় পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। প্রধান আসামি ব্যতিত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জামিন বাতিলসহ রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে ডিবি পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এমএএস