ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মোটরসাইকেল ও পিকআপ সংঘর্ষে চাচা মো. ইমরান শেখ (৩১) ও ভাতিজা নাঈম শেখ (২৬) নামে এক মোটরসাইকেলের আরোহী নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বোয়ালমারী উপজেলার বনমালিপুর-বিন্নাহুরি নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পিকআপে থাকা এক মাছ ব্যবসায়ীকে মারাত্মক আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহ ও পিকআপ ভ্যানটি থানায় নিয়েছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের হাটখোলারচর গ্রামের মোহাম্মদ শেখের ছেলে টাইলস মিস্ত্রি মো. ইমরান শেখ এবং জিয়া শেখের ছেলে নাঈম শেখ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে কাজের উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেলে হাটখোলারচর থেকে পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা উপজেলায় যাচ্ছিলেন। মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বোয়ালমারী উপজেলার বনমালিপুর-বিন্নাহুরি নামকস্থানে পৌঁছালে মোটরসাইকেলটির বিপরীত দিক থেকে আসা মাছভর্তি একটি পিকআপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের ওই দুই আরোহী নিহত হন। এ ঘটনায় পিকআপচালকের পাশে থাকা দুই মাছ ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। তাদেরকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অপর আহত মাছ ব্যবসায়ী জিন্দার আলীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত মাছ ব্যবসায়ীদের বাড়ি উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে। ঘটনার পর থেকেই পিকআপচালক পলাতক রয়েছে। পুলিশ পিকআপ ও মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছে।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাবরিনা হক বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। অপর আহত দুইজনের মধ্যে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অপরজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকালে ভাঙ্গার দিকে যাওয়ার পথে মাছ ভর্তি একটি পিকআপ ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে চাচা-ভাতিজা মারা গেছে। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। 

জহির হোসেন/আরকে