মৌলভীবাজারের জুড়ীতে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সামছুজ্জামান রানুকে (মহালদার) গ্রেপ্তার করেছে জুড়ী থানা পুলিশ। এছাড়া ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

সোমবার (৪ মার্চ) মামলা দায়েরের পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

থানা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বয়স ১৫ বছর। সে গত তিন মাস ধরে অভিযুক্তের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত। সেখানে গৃহকর্মী কিশোরীর উপর কু-দৃষ্টি পরে সামছুজ্জামান রানুর। এক পর্যায়ে ধর্ষিতার মাকে ম্যানেজ করে গত তিনমাসে একাধিকবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে সামছুজ্জামান রানু। সর্বশেষ গত ১ মার্চ ওই কিশোরীকে আবারো ধর্ষণ করেন সামছুজ্জামান। এসময় নির্যাতন থেকে বাঁচতে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বাসা থেকে পালিয়ে যায়। 

পরে গত সোমবার (৪ মার্চ) থানায় হাজির হয়ে ওই কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে সামছুজ্জামান রানুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। বাকি দুই আসামি হলেন ধর্ষণের সহায়তাকারী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের বিরইনতলা গ্রামের আতর আলীর ছেলে সফিকুল ইসলাম (৪০) ও ভুক্তভোগী কিশোরীর মা। মামলা নং-৩, তারিখ ০৪-০৩-২০২৪।

মামলা দায়েরের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।

ধর্ষণ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন বলেন, মেয়েটির অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। আসামিদের মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে নেওয়া হয়েছে।

এমএসএ